‘বাবাকে খুন করেছে, তাই মেরে দিলাম…’, পুলিশের চোখে চোখ রেখে বললো পানিহাটি খুনের ধৃত যুবক

Spread the love

পানিহাটিতে যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ২। আরমান হত্যায় অভিযুক্ত শেখ রমজান ও বসির আলি নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে জেরা করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে দোষ কবুল করেছে ধৃতরা। তদন্তে জানা যাচ্ছে, বসির আলির বাবা উজির আলিকে খুন করার জন্যই শেখ আরমানকে খুন হতে হয়েছে। প্রতিশোধ নিতে শেখ রমজানের সঙ্গে মিলে শেখ বসির আলি আরমানকে খুন করেছে। পুলিশ ধৃতদের দশ দিনের হেফাজতে চাইছে।

ইতিমধ্যেই খুনে ব্যবহৃত চপার উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইপিসি-ক ৩০২, ৩৪,৩২৩ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। খুন, ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে খুনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। উল্লেখ্য, এদিন মেডিক্যালের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় ধৃত। তখনও সে একবাক্যে স্বীকার করেছ,বাবার খুনেরই বদলা নিয়েছে সে।

গত সপ্তাহে ঠিক শনিবারই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পানিহাটি। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সুপারি দিয়ে খুন করা হয়েছিল ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। কিন্তু এটি ছিল প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের জেরে। ঠিক তার এক সপ্তাহের মধ্যেই আরও একটি খুন। এবার ৭ নম্বর ওয়ার্ড। এলাকা সেই পানিহাটিই। এবারের খুনের কারণ আরও চাঞ্চল্যকর।

বাবাকে খুন করার বদলা নিল ছেলে। অভিযুক্ত জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই তারই বাড়ির সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করল ছেলে! এই ঘটনার প্রেক্ষাপট হার মানাবে কোনও হিন্দি থ্রিলার মুভিকেও। পানিহাটি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কুপিয়ে খুন করা হয় শেখ আরমান নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক যুবককে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই বসির আলি ও অন্য এক অভিযুক্ত শেখ রমজানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বসির আলি নামক ওই ব্যক্তির বাবা উজির আলিকে খুন করার অভিযোগে জেলে গিয়েছিল মৃত শেখ আরমান। ১৫ দিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল সে। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার বিকেলে অভিযুক্ত ছানা আগরপাড়া নয়াবস্তি মৌলানা সেলিম রোড এলাকায় আরমানকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর সেখানেই খুন করা হয়েছে আরমানকে।

একেবারে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকাতেই রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে খুন করা হয় আরমানকে। তবে ৭ দিনের মধ্যেই পরপর দুটি ঘটনায় পানিহাটির আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এলাকায় পুলিশি প্রহরা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*