আবার যৌন নিগ্রহের ঘটনা। এবারেও শিকার ১১ বৎসরের একটা ছোট্ট কুঁড়ি। রিয়ালিটি শো’তে ট্রেনিং দেওয়ার নামে ৪১ বছর বয়সী পাপন ছোট্ট বাচ্চাটিকে ঠোঁটে চুমু খায়। বলিউডের ট্রেনার হিসাবে পাপনের খ্যাতি আছে। একটি নামী জাতীয় চ্যানেল এই সত্য সকলের সামনে আনেন। এই চ্যানেলের ডিবেটে অভিযোগ বাচ্চাটির বাবা কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি, পরিবারের পক্ষ থেকেও নেই কোনো অভিযোগ। শুধু এই কথা বলে আমরা আমাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারি না। আমরা এই সমাজ থেকে অনেক কিছু পাই, তাই আমাদের কিছু সামাজিক দায়িত্ব থেকে যায়। শুধু এই কেসেই নয়, এই দেশের কোণে কোণে এই রকম ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়ত। সামাজিক প্রতিষ্ঠা, পরিচয় নষ্ট হবে বলে এই বিষয়গুলি অনেকে লুকিয়ে রাখেন। অনেকে আবার এই ঘটনাকে প্রশ্রয় দেন। আমাদের রাজ্যে সম্প্রতি জিডি বিড়লা, এম পি বিড়লা, কারমেল, কমলা গার্লস প্রভৃতি বিখ্যাত স্কুলগুলিতেও ছোট্ট ছোট্ট মেয়েদের যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে।
আসলে বিকৃত মনষ্ক অসুস্থ কিছু মানুষ আমাদের সমাজকে প্রতিনিয়ত দূষিত করে চলেছে। এর বিরুদ্ধে পক্সো(POCSO) খুব শক্তিশালী আইন। আমাদের বক্তব্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত এইসব সমাজের শত্রুদের। মৃত্যুদণ্ডই এদের শাস্তি হওয়া উচিত। অনেকে বলছেন এটি গুরু-শিষ্য পরম্পরা। অনেকে বলতে পারেন এটি পিতাসুলভ আচরণ। কিন্তু পাপনের এই কুকর্ম কখনই এক বাবা তাঁর মেয়ের ক্ষেত্রে করতে পারেন না। দয়া করে এই বিষয়টিকে ছোট করে দেখবেন না। গুড টাচ্ আর ব্যাড টাচ্ সম্বন্ধে আপনার বাচ্চাকে সতর্ক করে তুলুন এবং নিজেও সচেতন হোন। যে রাজ্যেই এরকম ঘটনা হোক না কেন, এই সব সামাজিক কিটপতঙ্গকে বর্জন করা উচিত। সামাজিক বয়কট শুধু নয়, এদের অপরাধ হল Rarest of the rare। তাই আবারও বলছি মৃত্যুদণ্ডই হল সাজা। আর যদি নির্যাতিতার বাড়ির কেউ এবিষয়ে এগিয়ে না আসেন, ধর্ষণকারী অপেক্ষাকৃত প্রতিপত্তি সম্পন্ন বলে মনে করেন, তাহলে এগিয়ে আসতে হবে আমাদের। এই সমাজকে বাঁচানোর দায়িত্ব আমার আপনার সবার।
Be the first to comment