এবার সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা পরিবর্তন হতে চলেছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই এই পরিবর্তন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল সুপ্রিমো দলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি চালু করেছেন। তার জেরে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় শীঘ্রই এই নীতি চালু করা হবে। এখন লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা রয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য খাদ্য, গণবণ্টন এবং উপভোক্তা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন।
সূত্রের খবর, এই দুটি পদের যে কোনও একটি ছেড়ে দিতে হবে সুদীপকে। সেই জায়গায় আসতে চলেছেন প্রবীণ নেতা সৌগত রায়। একইসঙ্গে লোকসভা–রাজ্যসভায় দলের নেতা, উপনেতা এবং মুখ্য সচেতক পদে পরিবর্তন আনতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কংগ্রেসও লোকসভায় বিরোধী দলনেতা পদ থেকে মমতা বিরোধী মুখ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে সরিয়ে দিচ্ছে। সেই জায়গায় আসতে চলেছেন ওয়াইনাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধী। সোনিয়া তনয়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সখ্যতা আছে। ফলে বিরোধী ঐক্য গড়ে উঠবে লোকসভায়। যার ফলে ব্যাকফুটে যেতে পারে খোদ নরেন্দ্র মোদীর দল। এখন জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। একুশের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর নেতৃত্বে লড়াই করে সাফল্য পেয়েছে। সেখানে সংসদের ভেতরে–বাইরে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস একজোট হলে আরও বড় সাফল্য আসবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
আগামী ১৯ জুলাই শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগেই তৃণমূল কংগ্রেস পরিবর্তন ঘোষণা করতে পারে। এই সিদ্ধান্তের কথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। দীর্ঘদিন ধরে সৌগত রায় লোকসভায় পেছনের আসনে বসেন। সামনের আসনে উঠে এসেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা।
গুরুত্ব পেয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবার লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দুটি পদের একটি পদ হারালেও পদোন্নতি হতে পারে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি এখন দলের মুখ্য সচেতক। সেক্ষেত্রে তাঁকে উপনেতা করা হতে পারে। মুখ্য সচেতক পদে আনা হতে পারে বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। রাজ্য মন্ত্রিসভায় বেশ কয়েকজন মন্ত্রী রয়েছেন যাদের একাধারে মন্ত্রিত্ব এবং জেলা সভাপতির পদ–সহ অন্যান্য পদ সামলাতে হচ্ছে। তাঁদেরকে একটি পদ ছেড়ে দিতে হবে।
Be the first to comment