জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে এখন সবচেয়ে বড় খবর হল—জুলাই মাসে সংসদের বাদল অধিবেশন কাটছাট করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার সঙ্গে একই মত পোষণ করেছে সংসদীয় কর্তৃপক্ষ। এমনকী তা পিছিয়ে দিয়ে আগস্ট–সেপ্টেম্বর মাসে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে সেটা অনেকটাই নির্ভর করছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উপর। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীরা সরকারকে চেপে ধরার পরিকল্পনা করতে শুরু করেছে। তাঁদের দাবি, দেশের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে সরকার ভয় পাচ্ছে। তাই এভাবে পালিয়ে যাওয়ার কৌশল করছে।
আগের তিনটি অধিবেশনও কেন্দ্রীয় সরকার ছোট করে এনেছিল। লোকসভা এবং রাজ্যসভা—সংসদের দুই কক্ষেই অধিবেশন ছোট করে এনেছিল সরকার। তা নিয়ে সোচ্চারও হয়েছিলেন বিরোধীরা। সাধারণত জুলাই মাসেই বাদল অধিবেশন হয়ে থাকে। এবার সেটাকেও ছোট করে আনতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। আসলে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে সরকার। তার উপর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারেনি। দেশে বেকার বেড়েছে। একই সঙ্গে পেট্রোল–ডিজেল–সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত। এইসব নিয়ে বিরোধীরা চেপে ধরতে পারে বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এই বিষয়ে সংসদের এক আধিকারিক জানান, ‘সংবিধান অনুযায়ী, আগের অধিবেশন থেকে ৬ মাসের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন করতে হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী সরকারের হাতে সময় রয়েছে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তার মধ্যে অধিবেশন করলেই হল।’ বিজেপির এক শীর্ষনেতা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একটা আলোচনা হয়েছে, এবার বাদল অধিবেশনের সময় কমিয়ে আনা হবে। তবে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বাদল অধিবেশন শুরু হবে। তবে এখনও অনেক পরামর্শ হবে। সেপ্টেম্বর মাসে যদি করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ চলে আসে, যেটা অনুমান করা হচ্ছে তার থেকে জুলাই মাসে করে নেওয়া ভাল।’
Be the first to comment