“কেন্দ্র সরকার অযথা উদ্বিগ্নের কথা বলছে। আমাদের নিজেদের ফোর্সের উপরে আস্থা আছে। এর আগেও আমরা অনেক পরিস্থিতি সামলেছি। আমাদের ফোর্স এটাও সামলাতে পারবে। রাজ্যের দক্ষতা আছে, আধাসামরিক বাহিনী লাগবে কিনা তা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।” রাজ্যকে আধাসামরিক দেওয়ার প্রস্তাব প্রসঙ্গে বললেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন,
১) সরকার সংযমের সাথে, যারা অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছে তাদের সামলেছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু বাবুল যে ভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে বলেছেন, তা রাজ্যের সঠিক চিত্র নয়। বিজেপি রাজ্যে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। বাংলার মানুষ যাতে এই প্ররোচনায় পা না দেন তার জন্য আগেই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের সরকার পরিস্কার ভাবে বলছে শান্তি বজায় রাখতে হবে।
২) পুলিশ সক্রিয় হলেও দোষ আর না হলেও দোষ। যারা আইন ভাঙবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২) বাবুল রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাইছে রামনবমীকে সামনে রেখে। এটা অর্বাচীনের মত কাজ।
৩) রাজ্যপালের রায়গঞ্জ-এ যাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। তবে এলাকার পরিস্থিতি বুঝেই প্রশাসন যেটা ভাল বুঝবে সেটা করবে। তিনি যেতেই পারেন।
৪) বিজেপির কোনো ইস্যু নেই তাই কখনো রামনবমী কখনো হনুমান জয়ন্তীর নাম করে রাজ্যে অশান্তির সৃষ্টি করছে। রামনবমী কিংবা হনুমান জয়ন্তীর উপর যারা বিশ্বাস করেন তারা পালন করবেন। তবে অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। রামনবমী পালন করা মানে হিন্দুত্ব, না হলে নয়, এটা আমরা কারোর থেকে শিখব না।
৫) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের স্বার্থে দিল্লী গেছেন।
রিপোর্টার – রফিকুল জামাদার
Be the first to comment