রাজ্যপালের পদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন তুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

Spread the love

নাম না করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে লাটসাহেবের সঙ্গে তুলনা করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ রাজ্যপালের পদের আর প্রয়োজনীয়তা আছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷ আজ সংবিধান দিবস পালনের দ্বিতীয় দিনে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উপর ছড়ি ঘোরানো হচ্ছে ৷ রাজ্যপালের পদটা কতটা প্রয়োজনীয় সংবিধানের 70 বছর পর তা ভাবার সময় এসেছে ৷”

গতকাল সংবিধান দিবসের প্রথম দিনে রাজ্যপালের ভাষণকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক ৷ কাশ্মীর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন তিনি ৷ পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের উদ্দেশে বলেন, “চ্যালেঞ্জের মুখে কাজ করতে হচ্ছে ৷ সাংবিধানিক অধিকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে হচ্ছে ৷” রাজ্যপালের এই মন্তব্যকে ভালোভাবে নেয়নি শাসক শিবির ৷ আজ সংবিধান‌ দিবস পালনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে নাম না করে রাজ্যপালের আচরণের বিরুদ্ধে সরব হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ বক্তব্যের বেশিরভাগ সময় রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে জোরালো সমালোচনা করেন তিনি । বলেন, “সংবিধানের 70 বছর পরেও আমাদের ব্যবহার লাটসাহেবের মতো । নির্বাচিত সরকারকে হেয় করার অধিকার কি সংবিধান দিয়েছে? 70 বছর পর রাজ্যপালের পদটা কতটা প্রয়োজনীয় তা নিয়ে ভাবতে হবে । গত তিন বছরে রাজভবনের খরচ বেড়েছে আড়াই গুণ ।”

অন্যদিকে, বিরোধীদের ভূমিকা নিয়েও সরব হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “গতকাল দেখলাম সংবিধান যাঁদের অধিকার দিয়েছে, তাঁরা সংবিধান নিয়ে আলোচনা না করে কাদা ছোড়াছুড়ি করলেন ।” পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, “তাঁরা কী কারণে কাল রাজভবনে তাড়াতাড়ি গেলেন? এটা দ্বিচারিতা নয়? যদি সঠিক না হয় গেলেন কেন ওখানে?”

ফিরহাদ হাকিমকেও বিধানসভায় একই সুরে রাজ্যপালের সমালোচনা করতে দেখা গেল । তিনি বলেন, “রাজ্যপালের রাজনৈতিক দলের মত আচরণ করা ঠিক নয় । তিনি রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে কোনও কথা বলেননি । মহারাষ্ট্রের গভর্নর কলঙ্কিত হচ্ছে সেটা নিয়ে কিছু বলেননি । কাশ্মীর নিয়ে এত কথা বললেন কিন্তু রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে কোনও কথা বললেন না ।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*