জুলাই মাসে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসায় পঠনপাঠন শুরু হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১০ জুন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “মনে হচ্ছে জুলাই মাসেও স্কুল খুলবে না।”
হলও তাই। মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন রাজ্যে ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্কুল-কলেজ খুলবে না। তবে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলি নির্ধারিত দিনে হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। জুলাইয়ের ২, ৬ ও ৮ তারিখে হবে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি থাকা তিনটি পরীক্ষা।
করোনা সতর্কতায় মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যায় রাজ্যে। তারপর ধাপে ধাপে একের পর এক সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যের শিক্ষা দফতর।
প্রথম দফায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সবাই পাশ। অর্থাৎ এবছর যারা ক্লাস ওয়ানে পড়ছে পরের শিক্ষাবর্ষে তারা এমনিই দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে। ক্লাস এইটের ছেলেমেয়েরা উঠবে নাইনে। তারপর একাদশ শ্রেণি নিয়েও সিদ্ধান্ত জানায় রাজ্য।
পার্থবাবু ঘোষণা করেন একাদশ শ্রেণির সবাইকে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে। উচ্চমাধ্যমিকের মতো একাদশ শ্রেণিরও পরীক্ষা অসম্পূর্ণ ছিল। মাধ্যমিকের খাতা দেখার বিষয়েও গত মাসে সরকারি সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, মাধ্যমিকের খাতা দেখা শেষ হয়েছে। লকডাউন উঠলেই ফলপ্রকাশ করা হবে।
এমনিতেই বহু জায়গায় স্কুল কলেজকে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে রয়েছেন ভিন রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা। তা ছাড়া কোভিডের মৃদু উপসর্গ যাঁদের আছে তাঁদের জন্য সরকার সেফ হাউস করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে হাসপাতালের বেড শুধুমাত্র গুরুতর রোগীদের জন্য ব্যবহার করা যায়। সেই সেফ হাউসের জন্যও অনেক জায়গায় স্কুল, কলেজ নেওয়া হয়েছে। তাই অনেকেই আন্দাজ করছিলেন জুলাই মাসে স্কুল খোলা সম্ভব হবে না। এদিন সরকারি ঘোষণা করে দিলেন পার্থবাবু।
Be the first to comment