এসএসসি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দু’দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ। এর আগে পার্থ এবং অর্পিতাকে ১০ দিনের হেফাজত দিয়েছিল আদালত।
এদিন ফের তাঁদের ব্যাংকশাল আদালতে তোলা হয়। ইডির তরফে পার্থর চার দিন এবং অর্পিতার ৩ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়। শেষপর্যন্ত আদালত দু’জনকেই দু’দিনের হেফাজতে পাঠিয়েছে।
এদিন ইডির আইনজীবী পার্থর ৪ দিনের হেফাজত চেয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের যুক্তি ছিল এজেন্সির পূর্ণাঙ্গ হেফাজতের মেয়াদ হয় ১৪দিনের। পার্থবাবুর হেফাজতের মেয়াদও সেটাই হওয়া উচিত। পালটা পার্থবাবুর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। তাঁর যুক্তি ছিল, পার্থ ইতিমধ্যেই ১০ দিন ইডির হেফাজতে কাটিয়ে ফেলেছেন। আদালতই প্রতি ৪৮ ঘণ্টায় তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় তাঁর শরীর ভাল না। তাছাড়া ১০ দিন এজেন্সির হেফাজতে কাটানোর পর আর কোনও যুক্তিতেই তাঁকে হেফাজতে রাখতে পারে না ইডি। তাছাড়া ইডি সেই পুরনো সব গল্পই শোনাচ্ছে, তাদের হাতে নতুন কিছু নেই।
অর্পিতার আইনজীবীরা অবশ্য তাঁর জামিনের আবেদন করেননি। তাঁরা বলেন, ইডি হেফাজতের আর কোনও যুক্তি নেই। তাছাড়া ইডি হেফাজতে অর্পিতাকে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতেও দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তিনি আইনি সহায়তাও পাচ্ছেন না। যে কোনও নাগরিকেরই আইনি সহায়তা পাওয়াটা অধিকারের মধ্যে পড়ে। অর্পিতার আইনজীবীর এই যুক্তি মেনে নিয়ে কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ইডি হেফাজতে আইনজীবীরা ১৫ মিনিটের জন্য অর্পিতার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
পার্থ ও অর্পিতার আইনজীবীদের পালটা যুক্তিতে ইডি বলে, এই মামলায় প্রতিদিনই নতুন কোনও না কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। ফলে এদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। তাছাড়া পার্থ জেরায় সহযোগিতা করছে না বলেও অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি আরও জানিয়েছে, অর্পিতার ফ্ল্যাটে যে টাকা পাওয়া গিয়েছে সেটা নিয়োগ দুর্নীতিরই টাকা।অর্পিতার নামে এলআইসির ৩১টি পলিসি রয়েছে। সেইসব পলিসিতে নমিনি হিসেবে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম।
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, পার্থ এবং অর্পিতাকে আরও দু’দিনের ইডি হেফাজতে কাটাতে হবে। আগামী ৫ আগস্ট শুক্রবার তাঁদের ফের আদালতে তোলা হবে।
Be the first to comment