বিধানসভার সর্বদল বৈঠকে ডাক পাননি ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। যা নিয়ে সকাল থেকেই জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। বঞ্চনার প্রতিবাদে স্পিকারকে চিঠি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র প্রতিনিধি। এবার এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সর্বদল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ বলেন, ‘উনি কোনও দল নাকি? দল হলে তবে না সর্বদল বৈঠকে আসবেন!’ তাঁর এহেন মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এদিন সর্বদল বৈঠক এবং BA কমিটির বৈঠক শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নওশাদ সিদ্দিকি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তাঁর যদি এতই বৈঠকে যোগদানের ইচ্ছা থাকে, তাহলে এই বিষয়ে স্পিকারের সঙ্গে কথা বলব।’ উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকে সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধি ডাক না পেলেও নির্দল বিধায়ক আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ সংযুক্ত মোর্চার বিধায়ক। এ প্রসঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘আমার কাছে আজকের সর্বদল বৈঠক নিয়ে কোনও তথ্যই ছিল না। আমায় ফোন বা মেইল, কোনওভাবেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাই উপস্থিত থাকার প্রশ্ন আসছে না। কিন্তু, এমনটা কেন হল তা নিয়েই প্রশ্ন। আমরা মাননীয় স্পিকার মহাশয়ের কাছে চিঠি দিয়ে পুরো বিষয়টা জানতে চাইব।’ তাঁকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ভাঙড়ের বিধায়কের।
বিধানসভা সূত্রে খবর, এদিন দুপুর ১টা নাগাদ বিধানসভায় উপস্থিত থাকলেও সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী। এ প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ব্যস্ত মানুষ। বৈঠকে এলে ভালো লাগত।’ প্রসঙ্গত, PAC চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে সংঘাতের আবহ চলছে। এই নিয়ে পার্থ বলেন, ‘চেয়ারম্যান নির্ধারণ করা স্পিকারের দায়িত্ব। আমরা শুধু সমর্থন করেছি। যাদের নাম ২০ জনের তালিকায় ছিল না, সেরকম দু’জনকেও এদিন বৈঠকে দেখা গিয়েছে। এই নিয়ে আমরা আপত্তি জানিয়েছি।’
বিধানসভা সূত্রে আরও খবর, আগামী ৭ জুলাই অর্থ বাজেট পেশ হবে। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অসুস্থ হওয়ায় এই বাজেট পাঠ করবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি, আগামী ৮ জুলাই বিধানসভায় পরবর্তী BA কমিটির বৈঠক। সেইদিন বিধান পরিষদ নিয়ে বিল করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
Be the first to comment