মিলান থেকে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘বাংলায় কোনও বনধ-ফনধ হবে না।’ রবিবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, ২৬ তারিখ বিজেপি-র ডাকা বনধ ব্যর্থ করতে রাস্তায় নামবে তৃণমূল। জেলায়-জেলায়, ব্লকে-ব্লকে, বুধবার দলীয় কর্মীদের মিছিল করার ডাক দিলেন পার্থবাবু। কয়েকদিন আগেই দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেছিলেন, ৪৮ মিনিটের নোটিসে কর্মসূচি করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে কর্মীদের।
বিজেপি বনধ ডাকার পরই প্রশাসনিক মহলে শুরু হয়েছে জোর তৎপরতা। কীভাবে বেশি করে বাস, ট্রাম চালানো যায়, পুলিশ প্রশাসন কীভাবে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে পারে সে ব্যাপারেও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন প্রশাসনের বড় কর্তারা।
মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরবেন ২৮ তারিখ। ফলে মন্ত্রী গোষ্ঠীর কাছেও চ্যালেঞ্জ বনধের দিন জনজীবন স্বাভাবিক রাখা। এ দিন পার্থবাবু জানান অন্যান্য বনধের মতোই ২৬ তারিখ বিজেপি-র বনধেও সরকারি কর্মচারীদের কাজে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক থাকবে। সোমবার নবান্নে জরুরি বৈঠকও বসবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, গত ১০ সেপ্টেম্বর বাম-কংগ্রেস পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে যে ভারত বনধ ডেকেছিল, তার সঙ্গে এই বনধ আসমান-জমিন ফারাক। কারণ ওই বনধ ছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পলিটিক্যাল অ্যাজেন্ডার সঙ্গে মিল খায়। যে কারণে অন্যান্য বনধের মতো রণংদেহী মেজাজে পুলিশকে দেখা যায়নি গত ১০ তারিখ। মৌলালি থেকে একটা নামকা ওয়াস্তে মিছিল ছাড়া সরাসরি রাস্তায় নেমে বনধের বিরোধীতাও করেনি তৃণমূল। কিন্তু এই বনধের ইস্যু একেবারে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এমনকী ইসলামপুরের ঘটনায় যে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সেই দফতরের মন্ত্রীও মমতা নিজে। ফলে বিদেশে থাকলেও এটা যে তাঁর কাছেও চ্যালেঞ্জ তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শনিবার।
অন্যদিকে বিজেপি-ও হাত গুটিয়ে বসে নেই। মনে করা হচ্ছে বিজেপি কর্মীরা তো রাস্তায় নামবেনই সেই সঙ্গে সরাসরি রাস্তায় নামতে পারেন সঙ্ঘপরিবারের অনুগামীরাও। কারণ ইসলামপুরে জোড়া ছাত্র হত্যা কাণ্ডে ইতিমধ্যেই আরএসএস-এর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে শাসক দল। ফলে অনেকেরই আশঙ্কা বুধবারের বনধ শান্তিপূর্ণ হবে তো?
কী বললেন পার্থ বাবু? শুনুন-
Be the first to comment