রাজ্যের সমস্ত সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্রিজ কমিশন তৈরি করবে রাজ্য সরকার। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এ কাথা জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, এই কমিশনের আওতায় থাকবে রাজ্যের সমস্ত ব্রিজ।সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা দফতরের প্রতিনিধিরা থাকবেন এই কমিশনে। মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরে আসার পরই এই কমিশনের গঠনতন্ত্র ঠিক করা হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালেই কাকদ্বীপে ভেঙে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ কংক্রিটের সেতু। কাকদ্বীপের পশ্চিম স্টিমার ঘাট এলাকায় কালনাগিনী নদীর উপরে তৈরি করা হচ্ছিল পশ্চিম স্টিমারঘাট ও পশ্চিম গঙ্গাধরপুর এলাকার সংযোগকারী এই সেতুটি। সোমবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেতুটি। ওই সময় সেতুর পাশে বেশ কয়েকটি বাচ্চা খেলা করছিল বলে জানা যায়। তবে তারা সেতু থেকে বেশ কিছুটা দূরে থাকায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। এলাকাবাসীর বক্তব্য, সকালের দিকে ঘটনা ঘটায় কেউ হতাহত হননি। তবে বিকেলে সেতু ভাঙলে বিপদের আশঙ্কা ছিল। কারণ এলাকার ছোটরা এই সেতুর ঠিক নীচেই বিকেলে খেলাধুলো করে। বৃদ্ধরা বসে গল্প করেন।
বছর তিনেক আগে সেতুটির শিলান্যাস করেছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। ২০২১ সালে উদ্বোধন হওয়ার কথা সেতুটির। তৈরির আগেই সেতু ভেঙে পড়ার পর মন্টুরাম পাখিরা বলেন, ’’যে সংস্থাকে দিয়ে সেতু তৈরি করানো হচ্ছিল তাদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ কাকদ্বীপের সেতু ভাঙার প্রসঙ্গে এ দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, রাজ্যের সমস্ত ব্রিজের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ও কারিগরি উন্নতি করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরে এলেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর খানিকক্ষণ পরেই রাজ্যের সমস্ত ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্রিজ কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
Be the first to comment