শোভন যাওয়ায় দলের কোনও ক্ষতি হয়নি। আমি চলে গেলেও তৃণমূলের ক্ষতি হবে না। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন আছেন কিছু হবে না। তবে মঙ্গলবার শোভনকে যেভাবে দেখলাম ও সুস্থ থাকুক এটাই চাই। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একথাই বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি কয়েকদিন আগেই দিল্লীর বিজেপির পার্টি অফিসে দেখা যায় দেবশ্রী রায়কে। সেই নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। আর সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, অভিনেতা অভিনেত্রীরা অনেক জায়গাতেই যান ৷ সেই নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই ৷ আর কে কোন দলে যাবে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি আরোও বলেন, বিধানসভা যাতে ভালো করে শান্তিপূর্ণ ভাবে চলে আমরা সেদিকে ধ্যান দিচ্ছি।
রাজনৈতিক ময়দানে এক সময়ের সহকর্মী ৷ কাজের ফাঁকে বন্ধুত্বটাও হয়েছিল বেশ ৷ তাদের দেখে মনে হত ‘মমতা’-ময়ী মায়ের যেন দুই সন্তান ৷ কানন ও পার্থ ৷ বছর কয়েক আগেও ভাবেননি একে বিরোধীতে পরিণত হবেন তাঁরা ৷ ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন অনেকবার ৷ কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি ৷ 14 অগাস্ট বান্ধবী বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৃণমূল ছেড়ে BJP-তে যোগ দেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ৷ সেদিনও ‘বিরোধী বন্ধু’ শোভনের BJP-তে যোগ নিয়ে বিশেষ কিছু মন্তব্য শোনা যায়নি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গলায় ৷ তবে, তাঁর গলায় শোনা গেছিল অভিমানের সুর ৷ বলেছিলেন, “সম্পর্ক যদি জোড়া না লাগে তবে তার দায়িত্ব কার?” আজও এক সংবাদিক বৈঠকে শোভনের BJP-তে যোগ নিয়ে পার্থর গলায় শোনা গেল অভিমানের সুর ৷ বললেন, “আমি তৃণমূল চলে গেলেও ক্ষতি হবে না । যে দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সক্রিয় থাকবেন না, সে দিনই, সেটাই হবে বড় ক্ষতি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন থাকবে, লতা পাতা ওকে জড়িয়ে থাকবে । যাঁরা জড়িয়ে না থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন, তাঁরা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না । কেউ পারেনি । সবাইকে ফিরতে হয়েছে ।”
প্রসঙ্গত বুধবার বিধানসভায় বিএ কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ এই বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জালিয়ানাওয়ালাবাগের শতবর্ষ পূর্তিতে বিশেষ বক্তব্য পেশ হবে অধিবেশনে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষ্যে হবে এই বিশেষ আলোচনা। এছাড়াও, বেশ কিছু বিল আসার কথা রয়েছে বিধানসভায়। এই বিষয়ে সাংবাদিকে বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নতুন রাজ্যপাল এসেছেন। বিলের সই পেন্ডিং রয়েছে। সই ও ছাপার অপেক্ষায় থাকা বিলগুলোকে মুক্ত করে আনতে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কী বললেন পার্থবাবু?
শুনুন!
বিস্তারিত আসছে-
Be the first to comment