প্রত্যাশিত ভাবেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব৷ কেউ বলছেন রাজীব নিজের ভুল বুঝতে পারবেন, আবার কেউ রাজীবকে ডোমজুড় থেকেই ভোটে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ৷
রাজীবের সঙ্গে দু’ দফায় আলোচনায় বসেছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ এদিন রাজীবের ইস্তফার পর তিনি বলেন, কাজ করবার ইচ্ছে থাকলে দলে অনেক কাজ করা যায় ৷ যেখানে যাচ্ছেন বুঝবেন কাজ করবার কত সুবিধা আর অসুবিধা ৷ সাড়ে ন বছর সব ভোগ করলাম ৷ তারপর নির্বাচনের আগে মনে হল কাজ করতে পারছি না ৷ বিজেপি-তো এদের মুখগুলো ব্যবহার করছে শুধু তৃণমূলের বিরোধিতা করার জন্য ৷ মানুষই এদেরকে জবাব দেবেন ৷
পার্থবাবুর আরও দাবি, রাজীবের জন্য তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না ৷ রাজীবকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, দলের কর্মীরা তো কেউ যাচ্ছেন না ৷ তাঁরা একজোট আছেন ৷ কর্মীরাই তৃণমূলের শক্তি ৷ আর সমুদ্র থেকে দু’ ঘটি জল তুলে নিলে কিছু যায় আসে না ৷ ঠিক যেমন দুটো পাতা ঝরে গেলে বটগাছের কিছু হয়না, আবার নতুন পাতা গজায় ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো নিজেই একটা ইঞ্জিন ৷ তিনিই সবাইকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন ৷ কে কোন স্টেশনে নেমে গেলেন, তাতে কিছু যায় আসে না ৷
রাজীবের বিরুদ্ধে দলই ব্যবস্থা নিত বলে পাল্টা দাবি করেছেন প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ও। তিনি বলেন, ফেসবুক লাইভে রাজীব যা বলেছিল তাতে দলেরই ক্ষতি হয়েছিল ৷ ও নিজে না ছাড়লে দলই ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত ৷ রাজীব তো বনমন্ত্রী ছিল, বনে না গিয়ে শহরে বসে ফেসবুক করছিল ৷
তবে রাজীবের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি সুর চড়িয়েছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ জোমজুড়ের বিধায়ককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, ২০০৬-এ ডোমজুড়ে হেরে পালিয়ে গিয়েছিলেন ৷ আবার ২০১১-এর সুসময়ে ফিরে আসেন ৷ একটা কথাই বলব, ডোমজুড় থেকেই যেন উনি ভোটে দাঁড়ান।
Be the first to comment