চার পুরনিগমের ভোটেও সবুজ ঝড়। বিপুল আসন নিয়ে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ২৭ ফেব্রুয়ারি বাকি ১০৮ টি আসনে ভোট। আর সেই ভোটে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলদের নির্দল হয়ে মনোনয়ন পেশ দলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে শাসকদলের। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাদের কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বহিষ্কারের।
সোমবারই চার পুরনিগমের ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। অনেক আসন নিয়ে জয় পেয়েছে তৃণমূল। এদিকে ২৭ ফেব্রুয়ারির ভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে চাপা অশান্তি এখনও জারি। প্রার্থী তালিকা নিয়ে একদফা ঝামেলাও হয়েছে। জটিলতা কাটিয়ে সংশোধিত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকেই জেলায় জেলায় বহু কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ আবার নির্দল হয়ে মনোনয়ন পেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা নিয়ে দলের অন্দরে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সমস্যা মোকাবিলায় ঝাঁপিয়েছেন কো-অর্ডিনেটররা।
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে তিনি বলেন, “যাঁরা নির্দল হয়ে মনোনয়ন পেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের আবারও বলা হচ্ছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত বদল করতে হবে। অন্যথায় দল থেকে বহিষ্কার করা হবে তাঁদের।”
উল্লেখ্য, কলকাতার পর চার পুরনিগমের ভোটের ক্ষেত্রেও প্রার্থী তালিকা নিয়ে দেখা দিয়েছিল অসন্তোষ। একাধিক তৃণমূল নেতা-নেত্রী টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। আসানসোল পুরনিগমের ভোটে জয় পেয়েছেন এমনই তিন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নাজিম আখতার ও রাধা সিং। এদিকে বিধাননগরে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী মমতা মণ্ডল। তিনিও তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
Be the first to comment