প্রিজন ভ্যানে চাপিয়ে আলিপুর সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। একই রকম ভাবে জেলে নিয়ে যাওয়া হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। শুক্রবার পার্থ-অর্পিতার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। তারপরই পার্থ এবং অর্পিতাকে আদালত থেকে বের করে প্রিজন ভ্যানে করে আলিপুর জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালতের নির্দেশ শোনার কিছুক্ষণ পরই অর্পিতাকে আলিপুর সংশোধানাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। পার্থকে নিয়ে যেতে যেতে ৬.৪৫ বেজে যায়। প্রাক্তন মন্ত্রীকে কড়া নিরাপত্তায় প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। ভ্যানে ওঠার জন্য টুলের ব্যবস্থা করা হয়। এ দিন অবশ্য ভ্যানে ওঠার আগে ও পরে একটি কথাও শোনা যায়নি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মুখ থেকে।
সাংবাদিকরা একাধিক প্রশ্ন বার প্রশ্ন করলেও নিরব ছিলেন পার্থ। ব্যাঙ্কশাল আদালতের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয় আলিপুর জেলেও।
পার্থর জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতে তাঁর আইনজীবী বলেছেন, পার্থর কাছ থেকে কিছু উদ্ধার করা হয়নি। উনি কোথাও পালিয়ে যাচ্ছেন না। উনি বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার কথাও ভাবছেন। উনি অসুস্থ। ওঁর বয়সও হয়েছে। এমসের রিপোর্টেও অসুস্থতার কথার উল্লেখ রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রভাবশালী বলে পার্থকে জামিন দেওয়া যাবে না, এই যুক্তির পাল্টা বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রসঙ্গ টানেন পার্থর আইনজীবী।
Be the first to comment