২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ। তারপর গ্রেফতার। আপাতত দুই দিন ইডি হেফাজতে থাকতে হবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এসএসসি-র গ্রুপ ডি এবং নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ১২ এপ্রিল পার্থকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে৷ আরও বলা হয়, হাজিরা এড়াতে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া যাবে না ৷ ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যান পার্থ৷ ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় ৷ তার ফলে ১২ এপ্রিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হয়নি ৷
পরবর্তীকালে ১৮ মে আবার পার্থকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল একক বেঞ্চ৷ ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখায় ১৮ তারিখ তাঁকে সিবিআই দফতরে হাজির হতে হয়৷ তার দু’দিন পর ২০ মে ফের সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির নতুন চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷ দায়িত্বে আসেন সুব্রত বক্সী৷ পাশাপাশি, এসএসসির গ্রুপ-ডি গ্রুপ-সি নিয়োগ শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম-সহ একাধিক বিষয় যেগুলি তদন্ত করছিল সিবিআই সব কটি মামলায় যুক্ত করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷
শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি, নিয়োগের অনিয়ম-সহ একাধিক বিষয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আগেই একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এসএসসি সংক্রান্ত সাতটি বিশেষ মামলায় তদন্ত করছিল সিবিআই। সেই প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে যুক্ত করা হয় পার্থকে। যার অর্থ, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকা আরও বেশি করে সিবিআই আতসকাচের নীচে পড়তে শুরু করেছিল।
এরপর জুন মাসে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর্থিক লেনদেনের তদন্ত শুরু করে ইডি৷ ২২ জুলাই, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ হঠাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে চলে যান ইডির আধিকারিকেরা। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ৷ টানা ২৭ ঘণ্টা৷ গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের মহাসচিবকে৷
Be the first to comment