জোকা ইএসআই হাসপাতালে মঙ্গলবার শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় তাঁকে লক্ষ্য করে জুতো ছুড়ে মারেন এক মহিলা। নিয়োগকাণ্ডে নিঃসন্দেহে এই ঘটনা একটা গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিল এদিন।
এদিন হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় পার্থর গাড়ি লক্ষ্য করে এক পাটি জুতো উড়ে আসে। তুমুল শোরগোল শুরু হয় সেখানে। পার্থকে যদিও ততক্ষণে গাড়িতে ঢুকিয়ে নেন ইডির আধিকারিকরা।
তবে যে মহিলা এই জুতো ছোড়েন, তিনি স্পষ্ট বলেন, আমার অত্যাধিক দাঁতের যন্ত্রণা। আমি হাই পাওয়ারের ওষুধ খাই। আমার মাথা ঘুরছিল। আমার গায়ে রাগ ছিল। আমি ওনাকে জুতো মেরে শান্তি পেয়েছি। এবার আমাকে ছেড়ে দিন দয়া করে।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, জুতো দিয়ে মারলেন কেন? প্রশ্ন শুনে বিরক্ত হন ওই মহিলা। পাল্টা প্রশ্ন ছোড়েন, মালা দিয়ে বরণ করলে আপনাদের ভাল লাগত? ছুড়ে মারা জুতোর পাটিখানা পড়েই রইল হাসপাতাল চত্বরে। আরেক পায়ের জুতোও ফেলে রেখে খালি পায়েই হাঁটা লাগালেন ওই মহিলা।
হাসপাতালে পার্থ-অর্পিতাকে নিয়ে আসা মানেই নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয় এলাকা। পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান, ডাক্তার নার্সদের তাড়াহুড়ো, সব মিলিয়ে চরম ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায় হাসপাতাল চত্বরে। এদিন ওই মহিলা তাঁর এক আত্মীয়কে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। কিন্তু এত ভিড়ে বিরক্ত হয়ে ওঠেন তিনি। এরপরই ক্ষোভে এমন ঘটনা ঘটান বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত। কারও বিরুদ্ধে জুতো ছোড়ার সমর্থন তো আমরা করতে পারি না। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এভাবে হলে তা সমর্থনযোগ্য নয়। তবে এটায় বোঝা যাচ্ছে এই সরকারের প্রতি মানুষের ক্ষোভ কতটা।
Be the first to comment