কয়েকদিন আগেই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। এরপরই তাঁদের সঙ্গে এনিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করল রাজ্য সরকার। মোট ছ’জনের এই কমিটিতে থাকছেন রাজ্যের কয়েকজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ।
পাশাপাশি, শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত একাধিক গণসংগঠনকেও মতামত জানাতে বলা হয়েছে। ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত এই মতামত গ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার বেহালায় রাখিবন্ধন উৎসবের মঞ্চ থেকে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে এই কমিটি গঠনের কথা জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী জানান ছয় সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন সৌগত রায়, নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি, পবিত্র সরকার, অভীক মজুমদার, সব্যসাচী রায়চৌধুরি ও সুরঞ্জন দাস।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবেও আমাদের বক্তব্য আছে। আমরা পাঁচ-ছ’জনের একটা কমিটি করেছি। এছাড়া একাধিক গণসংগঠন আছে যারা শিক্ষা নিয়ে কাজ করছে তাদের কাছেও আমরা আবেদন জানাব যে তারা তাদের যুক্তিযুক্ত মতামত আমাদের জানাক ৷ তবে শুধু শিক্ষক সংগঠন বা শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত গণসংগঠন নয়, কমিটির বাইরে থাকা কোনও শিক্ষাবিদ চাইলেও তাঁদের মতামত জানাতে পারেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত এই মতামত গ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে।
আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরিতে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি ৷ আজ আবারও সেই একই অভিযোগ করে তিনি বলেন, শিক্ষা যুগ্ম তালিকায় আছে। এমনকী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা সকলের সঙ্গে কথা বলেছি কিন্তু আমাদের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। লিখিতভাবে আমাদের আপত্তির বিষয়টি জানিয়েছিলাম। দুঃখের বিষয় আমাদের কেউই এই কমিটিতে ছিলেন না। বাংলার শিক্ষা থেকে কাউকে রাখা হয়নি। সেই সঙ্গে, জাতীয় শিক্ষানীতি লাগু করতে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন ৷ তার খরচ কে বহন করবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পার্থবাবু বলেন, অনেক সিরিয়াস প্রশ্ন আছে। যেগুলোর সুষ্ঠু সমাধান চাই। একটা নীতি তৈরি করলাম আর তার পরদিন থেকে সেটা পালিত হবে এটা তো তুঘলকি কাণ্ড। এটা তো হয় না। আমরা আশা করব, তাঁরা আমাদের বক্তব্যগুলো শুনবেন। নতুন কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
Be the first to comment