খাতায়-কলমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন ৬ অক্টোবর। প্রতি বছর অনেক অনুষ্ঠানও হয়। কেক, মিষ্টি, উপহার দেন অনুগামী, প্রিয়জনরা। তবে এখন সেসব অতীত। জেলের ছোট্ট কুঠুরিতে এবছরটা একা একাই কাটল পার্থের। ফি বছর এই দিনটায় নাকতলার বাড়িতে লম্বা লাইন পড়ত। উপহারের ডালি, শুভানুধ্যায়ীদের ভিড়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন বলে কথা।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে পার্থ এখন জেলে। মন্ত্রিত্ব গেছে। দলের সব পদ থেকে সরানো হয়েছে তাঁকে। এখন ক্ষমতাহীন, একা। সংশোধনাগারের সেলে একাই শুয়ে বসে দিন কেটেছে বৃহস্পতিবার। বেলা গড়াতে কিছু শুভানুধ্য়ায়ী অবশ্য জেলে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু তারপরই টুইস্ট। তিনি সেই শুভানুধ্যয়ীদের জানান, আজ তাঁর জন্মদিন শুধুমাত্র খাতায়-কলমে। আদতে তাঁর জন্মদিন আজ নয়। তাঁর মা আজকের জন্মদিন মানতেন না। তাই তিনি আজ জন্মদিন পালন করেন না।
ষষ্ঠীর দিন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে আইজি কারা বন্দিদের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন। সূত্রের দাবি, সেই উদ্বোধনে থাকার জন্য আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু প্রশাসনের তরফে আবেদনে সায় মেলেনি বলে সূত্রের খবর। ফলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিছুটা ক্ষুব্ধ হন এবং জেলের মধ্যে নিজের সেলেই ছিলেন। সপ্তমীর দিন জেল কর্তৃপক্ষ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেন প্রতিমা দর্শনের জন্য। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাতে রাজি হননি এবং চুপচাপ ঘরের মধ্যেই ছিলেন বলেও সংশোধনাগার সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, অষ্টমীর দিন সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন তিনি প্রতিমা দর্শন করবেন এবং অঞ্জলি দেবেন। সেইমত জেল কর্তৃপক্ষ বন্দিদের ক্লাব থেকে সব বন্দিদের সরিয়ে ফাঁকা করে দেওয়া হয়। এরপর শুধুমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একা ওই ক্লাবে নিয়ে গিয়ে প্রতিমা দর্শন করানো হয় বলেও সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে। একইভাবে নবমীতেও প্রতিমা দর্শনে যান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
সূত্রের খবর, নবমীর দিনও পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিকেলের দিকে প্রতিমা দর্শন করতে চান। সেইমত বন্দিদের ক্লাব ফাঁকা করে দিয়ে তাঁকে নিয়ে গিয়ে প্রতিমা দর্শন করানো হয়। তবে দশমীর দিন তিনি নিজের সেলেই ছিলেন বলে সূত্রের খবর। কোথাও বের হননি। সেলে বই পড়েই দিন কেটেছে তাঁর, দাবি সংশোধনাগার সূত্রে।
Be the first to comment