শনিবার তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বলা হয়েছিল দোষী প্রমাণিত হলে পার্থ চট্টোরাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবে দল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থান বদল করলো শাসকদল। রবিবার দলের তরফে জানানো হল, এমন কোনও নথি যা থেকে পার্থর বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণ করা যায় এরকম কোনও গ্রহণযোগ্য নথি আদালতে পেশ করা হলেই ব্যবস্থা নেবে দল। তা নিয়েই নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, শনিবারই পার্থকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়। ইতিমধ্যেই তাঁর ২ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সূত্রের খবর, বর্তমানে পার্থর উপর বেজায় চটেছে দল। কিন্তু নেপথ্যে কী কারণ? সূত্রের খবর, শনিবার গ্রেফতারির পর পার্থকে ঘনিষ্ঠদের ফোন করার অনুমতি দেয় ইডি। কাকে ফোন করতে চান জানতে চাইলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে দেন। টানা তিন বার ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু, ফোনে পাননি মুখ্যমন্ত্রীকে। পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও সে কথা জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিকে ইতিমধ্যেই ইডির অ্যারেস্ট মেমোতে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ও অন্যান্য অনেক হেভিওয়েট নেতাদের নাম রয়েছে। আর এটা হয়েছে পার্থর কারণেই। সূত্রের খবর, এই কারণেই বেজায় চটেছে শীর্ষ নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই পার্থ ঘনিষ্ঠ হিসাবে উঠে এসেছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও অধ্যাপিকা মোনালিসা দাসের নাম নাম। যা নিয়েই তোলপাড় রাজ্য। সূত্রের খবর, পার্থর মহিলা সঙ্গ নিয়েই অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। তবে বিপদের সময় পার্থর পাশে থাকার কথা বলেছেন তিনি। আদালতের নির্দেশ না দেখে পার্থকে সারানো ঠিক হবে না বলেও মনে করছেন তিনি।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পার্থর বহিষ্কারের বিরুদ্ধে জোরালো সওয়াল করেছেন অভিষক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মমতার হস্তক্ষেপে এখনও কোনও কড়া পদক্ষেপ করা না হলেও পার্থর গ্রেফাতরি প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে বসে একটি জরুরি বৈঠক। সূত্রের খবর, সেখানেই পার্থর বহিষ্কারের বিরুদ্ধে জোরালো সওয়াল করেছিলেন অভিষেক সহ দলের একটা বড় অংশের নেতা।
Be the first to comment