‘আন্তরিকতার’ সঙ্গে আলোচনা চেয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। বছরশেষে অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজভবনে তেমনই আলোচনা হল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে। দু’জনের বৈঠকের ছবি পোস্ট করে রাজ্যপালের টুইটের, ‘শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুন্দর ও আন্তরিক আলোচনা হল। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের ২০২০-র শুভেচ্ছা।’
পড়ুয়া বিক্ষোভের জেরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ঢুকতে না পেরে শিক্ষা সংক্রান্ত সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন। যার জবাবে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি টুইটারে প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। যার পালটা রাজ্যপালকে লেখা চিঠিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে তাঁর চিঠিতে ‘রাজ্যপাল চাইলে যে কোনও আলোচনাতে রাজ্য সরকার রাজি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। সঙ্গে উল্লেখ ছিল, ‘আগ্রহে আন্তরিকতা থাকতে হবে।’
পাল্টা টুইটে রাজ্যপাল রবিবার বলেছিলেন, ‘এটা ইঁটের বদলে পাটকেল মারার সময় নয়।’ এই আবহেই আজ রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দু’পক্ষের আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা না গেলেও, আলোচনায় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে আশা করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যপালের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘শিক্ষা দফতর স্বশাসিত সংস্থায় হস্তক্ষেপ করে না।’ টুইট যুদ্ধের পর ‘আন্তরিক’ বৈঠক ভবিষ্যতে সরকার ও রাজ্যপালের কাজের পথ কতটা সহজ করবে, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীসভা ছাড়াও রাজ্যবাসীকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
Be the first to comment