রাজ্যপালের অনুরোধে রাজভবনে ‘সৌজন্য’ সাক্ষাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের

Spread the love

আগামী সোমবার অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরও বেশকিছু সিদ্ধান্তে এ দিন শিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রীসভা।

নবান্ন-রাজভবন সংঘাত আবহ বজায় ছিলই। রাজ্যর বিভিন্ন প্রেক্ষিতে রাজ্যপালের উল্টোসুরেই সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তাঁর সভাসদেরা। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভায় শুরু হতে চলেছে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। প্রথামাফিক রাজ্যপালের ভাষণ দিয়েই শুরু হয় এই অধিবেশন। তাঁর আগেই রাজভবনে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘন্টাখানেকের এই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ যে যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।

যদিও মুখ্যমন্ত্রীকে দু’দিন আগেই রাজভবনে আসতে আমন্ত্রণ জানান জগদীপ ধনকড়। আমন্ত্রণপত্রে তিনি জানান, ‘নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে এই বিরোধ ধরে রাখা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।’ এরপর দিনই রাজভবনে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও ঠিক কী কথা হয়েছে এই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’-এ সে বিষয়ে কিছু জানাননি তৃণমূলের মহাসচিব। রাজভবনের বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “হ্যাঁ, আমি রাজ্যপালের সাথে দেখা করতে গিয়ে তাঁকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে অবহিত করেছি। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। তবে আমি এটা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা করব না। আমি আসন্ন রাজ্য বাজেট অধিবেশন সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেছি। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী হিসাবে আমার দায়িত্ব ছিল তাঁকে বাজেট অধিবেশন সম্পর্কে অবহিত করা। এটা কেবলমাত্র একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ।”

তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান নেতার বক্তব্য, “রাজ্যপালের ভাষণ দিয়েই সংসদে বাজেট পেশ করা শুরু হয়। এই মুহুর্তে উভয়পক্ষের মধ্যেই একটি বিরোধ রয়েছে। তাই আগেই সে বিষয়ে আলোচনা করে নেওয়াটাই শ্রেয়।” যদিও এই সংঘাত আবহ রাখতে চান না রাজ্যপাল নিজে, একটি অনুষ্ঠান থেকে সে কথাও জানিয়ে দেন তিনি। জগদীপ ধনকড় বলেন, “আমি হাত জোড় করে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি। আমরা দুজনেই সংবিধানের অধীনে। তাই সবদিকটি গুরুত্ব দিয়ে দেখুন। আমাদের আলাদা আলাদা দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। তবে আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এর মাঝে কোনও দ্বন্দ্ব থাকা উচিত নয়। আমি কখনোই নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে ক্ষমতার লড়াই করব না।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*