সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি একদিকে মোদী তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যেমন সরব হন, ঠিক তেমনই কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি পার্থ বাবু। এদিন তিনি যা বক্তব্য রাখেন তা সংক্ষিপ্ত আকারে দেওয়া হল-
- আগামীকাল, মঙ্গলবার তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ ও বিভিন্ন শাখা সংগঠন পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির জন্য মানুষের জীবন আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। আগেও এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ হবে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির সামনে। এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর বিশেষ প্রভাব ফেলবে, তাই এই বিক্ষোভ।
- পাশাপাশি রাজ্য তার নিজের সেস বা ভ্যাট কমিয়ে কেন দিচ্ছে না? কেন্দ্র কমালেই তো হবে। প্রতিমাসে টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রের খুঁটি বোধহয় বিজেপির অন্য কোথাও বাঁধা আছে।
- পিপিএফ, প্রবীণদের জমানো টাকার সুদের উপর হাত পড়ছে। তাই বিজেপির আচ্ছে দিন কালো দিন হিসাবে প্রকাশ পাচ্ছে।
- মোদী বলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলা মানে দেশের বিরুদ্ধে কথা বলা। আশেপাশের লোকের থেকে খবর পেয়ে উনি ভাবছেন ওনার ৪৬ ইঞ্চি বুকের ছাতি আছে, কিন্তু আসতে আসতে তা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। ২০১৯-এ তিনি সেটা বুঝতে পারবেন।
- মহেশতলা প্রসঙ্গে বলেন, আজ অনেকক্ষণ ভোট বন্ধ ছিল। আমরা ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সময় চাই। এখনও পর্যন্ত কোনও খবর নেই কিন্তু সময় বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত সবাইকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। যে ধরনের কাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্বে হচ্ছে তাতে বাংলার মানুষ আমাদেরই আশীর্বাদ করবেন।
- অধীর চৌধুরী প্রসঙ্গে সরব হয়ে তিনি বলেন, কোর্টে হিরো-মানুষের কোর্টে জিরো। একটাই প্রবণতা মানুষের উপর অনাস্থা আনুন এটাই ওদের কাজ। কোথায় বিরোধী? একজন সাইনবোর্ড আর একজন মিউজিয়াম। বলছে উত্থান হচ্ছে, আর দুজন তো হারিয়ে গেল। সংগ্রামী মানুষের কাছে উন্নয়নের শপথ নেওয়া উচিত। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা, যে তার নিজের এলাকায় নেতৃত্ব দিতে পারেন না, এখন গণতন্ত্র নয় খুন। উনি যে কায়দায় মুর্শিদাবাদ চালিয়েছেন তা আমরা ধরে ফেলেছি। উন্নয়নও করবো এবং মস্তানিও রুখবো। মুর্শিদাবাদ জেলায় একটা বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি কেন? এত বছর সাংসদ থেকেও কী করলেন অধীর বাবু? এছাড়াও, তিনি আরও বলেন
- বিজেপি আগে সৈন্য বাহিনী তৈরী করুন। ওনাদের কথা কমিকের বইয়ের মতো। বাংলার মানুষ কমিক্সের বই পড়তে চায় না। এখন বিরোধীদের স্বর্ণযুগ। বিরোধীদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সৌজন্য বোধ দেখিয়েছেন তা আর কেউ দেখান নি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
Be the first to comment