সরকারি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে মার খেলেন এক গর্ভবতী মহিলা। তাও আবার ডাক্তারের হাতেই। ২২ বছরের বুলবুল অরোরার পরিবার এমনটাই অভিযোগ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, দিল্লির শাহদরায় ডক্টর হেডগেওয়ার আরোগ্য সংস্থানের প্রসূতি বিভাগের ভিতর মার খেতে হয়েছে বুলবুলকে। তাও আবার তিনি প্রসব করার খানিক আগেই।
বুলবুলের পরিবার জানিয়েছেন, শনিবার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ার পরে তাঁরা বুলবুলকে নিয়ে যান ওই সরকারি হাসপাতালে। তড়িঘড়ি তাঁকে প্রসূতি বিভাগেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তারপরেই ঘটে বিপত্তি। তৃতীয় বারের জন্য বুলবুল মা হতে চলেছেন শুনেই বেজায় চটে যান ডিউটিতে থাকা এক চিকিৎসক। ‘ফ্যামিলি প্ল্যানিং’ নিয়ে সবাইকে একচোট জ্ঞানও দেন তিনি। অভিযোগ, এরপর আচমকাই বুলবুলের থাইয়ে বেশ কয়েকবার ঘুষি চালান ওই চিকিৎসক।
বুলবুলের শ্বশুর সত্য প্রকাশ অরোরা জানিয়েছেন, বাচ্চার জন্ম হয় বেলা ১১টা ২০মিনিট নাগাদ। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, বেলা দেড়টা পর্যন্ত তাঁদেরকে কোনও খবরই দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিনি আরও জানিয়েছেন, যখন বুলবুলের শাশুড়ি ভিতর যান তখন তিনি দেখেন যে মা এবং সদ্যোজাত কারোর গায়েই ভালো করে কোনও কাপড় দেওয়া নেই। ঠাণ্ডায় কাঁপছেন মা-শিশু দু’জনেই। কিন্তু আচমকা কেনই বা চিকিৎসকরা রেগে গেলেন এবং বুলবুলের সঙ্গে এ হেন খারাপ আচরণ করলেন সেটাই বুঝতে পারেননি বুলবুলের পরিবার।
এই ঘটনার পর চিফ মেডিক্যাল অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন বুলবুলের পরিবার। পুলিশেও খবর দেন তাঁরা। পুলিশের কাছে ওই তরুণীর পরিবার অভিযোগ করেছেন, চিফ মেডিক্যাল অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে আরও খারাপ ব্যবহার শুরু করেছেন। এমনকী রবিবার সকালে বুলবুলের সঙ্গে দেখা করতেও দেওয়া হয়নি তাঁর পরিবারকে। হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডক্টর সুশীল কুমার জানিয়েছে, “চিফ মেডিক্যাল অফিসার আমায় গোটা বিষয়টা জানিয়েছেন। যদিও সবটাই আমি একতরফা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
Be the first to comment