মুহূর্তে বদলে যাওয়া হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস সে দিন অনেক বিতর্ক উসকে দিয়েছিল ৷ সুপ্রিয়া সুলে লিখেছিলেন, ‘ভেঙে গেল দল এবং পরিবার’ ৷ ১০০ ঘণ্টার মধ্যেই বদলে গেল ছবিটা ৷
আজ মহারাষ্ট্র বিধানভবনের সামনে দাদা-বোনের হাসিমুখে ছবি দেখেই ঝলসে উঠল একের পর এক সাংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা ৷ ছবিটাই বলে দিল, ভাঙেনি দল, ভাঙেনি পরিবার ৷ বুধবার সকাল আটটা ৷ একের পর এক বিধায়ক আসেন বিধানভবনে ৷ সকালেই চলে এসেছিলেন শরদ পাওয়ারের মেয়ে তথা সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে ৷ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে স্বাগত জানাতে থাকেন সকলকে ৷ বাসে করে আসেন NCP-র বিধায়করা ৷ সকলের সঙ্গে সুপ্রিয়া সুলের শুভেচ্ছা বিনিময় ৷ একটু বাদে আসেন অজিত পাওয়ার ৷ দাদাকে দেখেই এগিয়ে যান বোন সুপ্রিয়া ৷ জড়িয়ে ধরেন একে অপরকে ৷ দাদার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন সুপ্রিয়া ৷ হাসি মুখে সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়ান তাঁরা ৷ ততক্ষণে খবর চাউর হয়ে গেছে, সুখের সংসারে নিভতে বসা প্রদীপ আবার আলো ফিরে পেল ৷
ঘড়িতে তখন ঠিক সাড়ে আটটা ৷ শুরু হল শপথ অনুষ্ঠান ৷ রাজ্যের সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রোটেম স্পিকার কালীদাস কোলম্বকর । ততক্ষণে চলে এসেছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সহ অন্যান্যরা ৷ তাঁদের সঙ্গেও সু্প্রিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় হয়ে গেছেও ৷ আর পাঁচজনের মতো শপথ নিয়ে বাইরে আসেন অজিত পাওয়ার ৷ তাঁকে দেখেই ঘিরে ধরেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ৷ প্রশ্ন করার আগই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন অজিত ৷ দাবি করেন তিনি NCP- তে ছিলেন-আছেন-থাকবেন ৷ উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তাঁর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল ৷ কিন্তু, সে সময় তিনি টুইট করে দাবি করেছিলেন শরদ পাওয়ারই তাঁর নেতা ৷
শরদ-অজিত-সুপ্রিয়ার মতবিরোধের বিষয়টিকে আর রাজনীতির রং দিতে চান না কেউ ৷ নিছক পারিবারিক ঘটনা বলে দায় এড়াচ্ছে দল ৷ দলের অন্যতম ক্ষমতাবান নেতা নবাব মালিকের দাবি, পরিবারে একটা সামান্য সমস্যা হয়েছিল ৷ মিটে গেছে ৷ বিষয়টি নিয়ে আর ভাবনার কিছু নেই ৷
তাহলে কি আবার পরিষদীয় নেতা হিসেবে অজিতকেই দায়িত্ব ফিরিয়ে দেবেন শরদ ৷ জিতেন্দ্র কোলাম্বাকরের নাম ইতিমধ্যেই উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উঠে আসছে ৷ তাহলে অজিত পাওয়ার কোন পদ-দায়িত্ব পাবেন সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন ৷
Be the first to comment