এয়ারসেল-ম্যাক্সিস দুর্নীতি মামলায় দিল্লির পাটিয়ালা কোর্টে বৃহস্পতিবার নতুন করে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। চার্জশিটে পি চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে কার্তিকে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ৩১ জুলাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। সিবিআই-এর এই চার্জশিটকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিযোগ করেছেন চিদম্বরম। তাঁর দাবি, সিবিআইকে চাপ দিয়ে চার্জশিট পেশ করানো হয়েছে। আদালতে লড়াই করব আমরা
ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ডের মাধ্যমে দু’দফায় বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। চার্জশিটে চিদম্বরম ছাড়াও নাম রয়েছে সরকারি আধিকারিকদের। চিদম্বরমের সুরেই এদিন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেছেন কপিল সিব্বলও। তাঁর কথায়, ”এই সরকার বা সিবিআইয়ের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি প্রত্যাশা করা উচিত নয়। টুজি মামলায় সকলেই বেকসুর খালাস হয়েছিলেন। এই মামলাতেও সেটাই হতে চলেছে।”
এয়ারসেলে বিনিয়োগের জন্য মেসার্স গ্লোবাল কমিউনিকেশন-কে ছাড়পত্র দিয়েছিল ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ড। ইডি-র দাবি, এফআইপিবি-র অনুমোদনের পরই ২৬ লক্ষ টাকা কার্তির সংস্থাকে দিয়েছিল এয়ারসেল টেলিভেঞ্চার লিমিটেড। তখন দেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন পি চিদম্বরম। ২০০৬ সালে এয়ারসেল-ম্যাক্সিসের ৬০০ কোটির চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছিল এফআইপিবি। এই বিশাল অর্থের অনুমোদনের জন্য ছিল অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভার কমিটির। ইডির দাবি, তদন্ত দেখা গিয়েছে ১৮০ কোটি টাকার বিনিয়োগ দেখানো হয়েছিল, যাতে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভার কমিটির কাছে পাঠানোর দরকার না পড়ে।
Be the first to comment