তেলের দাম নিয়ে অস্বস্তি উত্তরোত্তর বাড়ছে কেন্দ্রের। অন্য়ান্য রাজ্য়গুলিতে দাম সামান্য় পড়লেও, পেট্রল-ডিজেলের দামে কর ছাড় দিতে রাজি নয় দিল্লি সরকার। তারই প্রতিবাদে সপ্তাহের শুরুতেই ২৪ ঘণ্টার জন্য দিল্লির প্রায় ৪০০ পেট্রল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি পেট্রল ডিলার্স অ্য়াসোসিয়েশন (DPDA)। সেই সঙ্গে বন্ধ থাকবে পেট্রল পাম্পগুলির সঙ্গে যুক্ত সিএনজি স্টেশনও।
সোমবার সকাল ৬টা থেকেই তালা পড়ে গেছে পেট্রল পাম্প ও সংযুক্ত সিএনজি পাম্পগুলিতে। ফলে সপ্তাহের গোড়াতেই চরম ভোগান্তির মুখে রাজধানীর বাসিন্দারা। পাম্প খুলবে ফের আগামিকাল সকাল ৫টা নাগাদ। পেট্রল-ডিজেল চালিত গাড়ি তো রয়েছেই, সিএনজি চালিত অটো-ট্যাক্সিচালকরাও সকাল থেকেই সমস্যার মুখে। বনধের আগাম খবর জেনে শনিবার থেকেই পেট্রল পাম্পগুলিতে উপচে পড়েছিল ভিড়। স্থানীয়দের কথায়, অনেকেই ডিপিডিএ-র এই ঘোষণার কথা জানতেন না। ফলে সকালে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে মাথায় হাত পড়েছে অনেকেরই।
ডিপিডিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি পেট্রল, ডিজেলে আড়াই টাকা উৎপাদন শুল্ক কমানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার পরে বিভিন্ন রাজ্যও দাম কমিয়েছিল। কিন্তু দিল্লিতে দাম কমেনি। ফলে প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা থেকে পেট্রল নিতে ছুটেছেন দিল্লির বাসিন্দারা। দিল্লি পেট্রল ডিলার্স অ্য়াসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নিশ্চল সিঙ্ঘানিয়ার কথায়, ‘‘দিল্লি সরকার তেলের দাম ও কর ছাড়ে মাথা ঘামায়নি। ফলে অক্টোবর ১৫ পর্যন্ত দিল্লিতে পেট্রল ও ডিজেলের বিক্রি কমেছে যথাক্রমে ২০% ও ৩০%। পাশের রাজ্য থেকে তেল ভরে এনে কাজ চালাচ্ছেন দিল্লির বাসিন্দারা। ফলে রাজ্যের পেট্রল পাম্পগুলি ক্ষতির মুখে। ’’
তেলের দাম কমানো নিয়ে চাপানউতোর চলছেই। জেটলি বলেছিলেন, কেন্দ্র আড়াই টাকা কমাচ্ছে, রাজ্যগুলিও কমাক। কিন্তু দিল্লি-সহ বিরোধী শাসিত অনেক রাজ্যই এখনও সে ডাকে সাড়া দেয়নি। গোটা ঘটনার দায়ভার বিজেপির উপরই চাপিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল। তাঁর অভিযোগ, পেট্রল পাম্পের মালিকদের উস্কে বনধের সিদ্ধান্ত আদতে বিজেপিরই। রবিবার রাতে টুইটারে কেজরিবাল লিখেছিলেন, ‘‘তেল কোম্পানিগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বিজেপি। ভোটের আগে তাঁরা তাঁদের নোংরা রাজনীতি খেলছে।’’
Be the first to comment