পিগমেন্টেশন কেয়ার

Spread the love

রূপ বিশেষজ্ঞ শর্মিলা সিং ফ্লোরা –

মেচেতা বা পিগমেন্টেশন এই নামটার সঙ্গে আমরা অনেকেই খুব পরিচিত। কিন্তু জানিনা আদৌ এটা কেন হয়? এর থেকে প্রতিকারের উপায় গুলোই বা ঠিক কী কী? এটা হলে কীভাবে কমে বা আদৌ কমে কী না তাও আমরা ঠিকভাবে জানি না। পিগমেন্টেশন এমন একটা জিনিস যেটা মূলত হয় সূর্যরশ্মি থেকে। সূর্যের ইউভিএ বা ইউভিবি রশ্মিগুলো স্কিনের পিগমেন্ট শেল গুলোকে স্টিমুলেটস করে , যেটাকে মেলানোসাইটস বলে। ঠিক এভাবেই স্কিনের লেয়ার গুলোর মধ্যে মেলানিন নামক একটি জিনিস তৈরি হয় যা প্রথমে কালো চিট চিট দাগ হয় পরে ডার্ক ব্ল্যাক বা ব্রাউন প্যাচেস মতো হয়ে যায়।

ফ্রেকলস অথবা পিগমেন্টেশন একবার এলে কিন্তু সেটা স্কিনের গভীরতম লেয়ার থেকে পুরোপুরি রিমুভ করা খুবই সমস্যার। যাতে পিগমেন্টেশন না হয় তার জন্য কিছু সতর্কতা-

  • প্রতিদিন ফ্লোরার এসপিএফ ৪০ লাগাতে হবে। যে কোনও ওয়েদারে ৩৬৫ দিনই এটা লাগাতে হবে।
  • প্রতিদিন ট্যান ক্লিয়ার স্ক্রাব করে ডেড শেল গুলোকে রিমুভ করতে হবে। প্রতিদিন ফ্লোরার নাইট ক্রিম ব্যবহার করে স্কিনকে উজ্জীবিত রাখতে হবে। তাহলে পিগমেন্টেশন আসার সম্ভাবনা কমবে।
  • এখন যাদের এসে গেছে তাদের একটু অতিরিক্ত কেয়ার যদি প্রলং টাইম ধরে নেওয়া যায় তাহলে ৮০ শতাংশ মতো লাইট হয়ে যাবে। যেটা প্রায় অদৃশ্য হয়ে যাবে।
  • ফ্লোরার গোল্ড অথবা পার্ল ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে রোজ এসপিএফ দু ঘণ্টা অন্তর অন্তর লাগাতে হবে।
  • ট্যান ক্লিয়ার স্ক্রাব দিয়ে স্ক্রাবিং করতে হবে।
  • প্রতিদিন ভেজ পিল অ্যাপ্লাই করা খুব জরুরী।
  • রাতে একটা ফ্লোরার যে কোনও নাইটক্রিম ব্যবহার করে তার ওপর ফ্লোরার কমপ্লেক্সন ক্রিম ওই স্পটে ব্যবহার করে সারারাত রেখে দিতে হবে। এর সাথে একটু টক দই, আমন্ড এগুলো যদি ব্যবহার করা হয় যেটা স্কিনকে ভিতর থেকে প্রোটিন, ভিটামিন দেবে। তাহলেই ধীরে ধীরে পিগমেন্টেশন  সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*