অর্জুন সিংয়ের বিদ্রোহ কি আপাতত সামাল দিয়ে ফেলল বিজেপি? পাটশিল্পের দুরবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলের সঙ্গে দেখা করার পর আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিলেন অর্জুন। বারাকপুরের সাংসদ টুইটারে জানিয়েছেন পীযুষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক সদর্থক হয়েছে। দ্রুত পাটশিল্পের সমস্যা দূর হবে বলে তিনি আশাবাদী।
পাটশিল্পের দুরবস্থাকে হাতিয়ার করে বেশ কিছুদিন ধরেই রীতিমতো বেসুরে কথা বলছিলেন অর্জুন। গত কয়েকদিনে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন তিনি। আসলে কেন্দ্রীয় সরকার পাটের দামের ঊর্দ্ধসীমা বেঁধে দেওয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন অর্জুন। এমনকী, এই শিল্পের হাল ফেরাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তাঁর একাধিক মন্তব্যে তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার ইঙ্গিত মিলেছিল। মমতা ছাড়াও ওড়িশা, অসম ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি লেখেন তিনি।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শনিবার জরুরি ভিত্তিতে অর্জুনকে দিল্লিতে তলব করেন পীযূষ গোয়েল। শনিবার বিকেলেই দিল্লি উড়ে যান বারাকপুরের সাংসদ। রওনা দেওয়ার আগেও তিনি বলেন, পাটশিল্পের উপর লক্ষ লক্ষ মানুষের রুজিরুটি নির্ভর করে, এই সমস্যা তাঁর কাছে মরণ-বাঁচন সমস্যা। বলা ভাল দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত রণং দেহী মেজাজে ছিলেন অর্জুন। শনিবার রাতে বস্ত্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁর সেই ক্ষোভের আগুন কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। টুইটারে বিজেপি সাংসদ লিখেছেন, “‘আমার অনুরোধে মাননীয় পীষূষ গোয়েলজি তাঁর বাড়িতে বৈঠকের জন্য আমাকে ডেকেছিলেন। পাট চাষি, কর্মী এবং পাটশিল্পের দুরবস্থার সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক খুবই ইতিবাচক। আশা করছি, দ্রুত সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে অর্জুনের এই টুইটে আপাতত রণেভঙ্গ দেওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও কতদিন তিনি শান্ত থাকবেন তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, পাটশিল্পকে কেন্দ্র করে যেভাবে গত কয়েকদিন অর্জুন সিং ফুঁসছিলেন, দ্রুত সমস্যা না মিটলে তিনি যে ফের বেসুরে গাইবেন না, কে বলতে পারে!
Be the first to comment