ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের টিম ইতিমধ্যেই সাফল্য পেয়েছেন ৷ বাংলার ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ আসন্ন পুরসভা ভোটের আগে বড় ধাক্কা খেয়েছে গেরুয়া শিবির ৷ এবার ২০২০ পুরসভা ভোটেও সাফল্য পেতে চায় টিম পিকে অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোরের দল ৷
সূত্রের খবর, আসন্ন পুরসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে কারা টিকিট পাবেন, সেটা ঠিক করবে টিম পিকে ৷ তার জন্য তৈরি হয়েছে টিম পিকের নয়া বাহিনী ৷ প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মতো তারা বুথভিত্তিক রণকৌশল তৈরি করে ফেলেছেন ৷ পুরসভা নির্বাচনে যোগ্য,সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মীদেরকেই তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে টিকিট দেওয়ার পরামর্শ প্রশান্ত কিশোরের ৷ পাশাপাশি দেখা হচ্ছে যাকে প্রার্থী করা হবে,তাকে এলাকায় সংগঠক হিসাবে ভালো হতে হবে ৷ প্রতিটি পুরসভার ওয়ার্ড বা ব্লকে ব্লকে ঘুরছে পিকের টিম ৷ তারা সাধারণ মানুষের কাজ থেকে জানতে চাইছেন কোন কাউন্সিলর কেমন কাজ করছে, তাকে ফের জনগন ফের চাইছে কিনা ৷ সেই সব তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে একটি রিপোর্ট ৷ তার ভিত্তিতেই তৈরি হবে শাসক দলের পুরনির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ৷
জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) এবং নাগরিক সংশোধনী আইন (সিএএ) উভয়কে হাতিয়ার করে,২০২০ সালের পুরসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভায় লড়ার পরিকল্পনা নিচ্ছে তৃণমূল ৷ কারণ সেই পথেই এগোতে চাইছেন তৃণমূলের নির্বাচনী কৌশলের দায়িত্বে থাকা প্রশান্ত কিশোর ৷ এতদিন পদ্ম বিরোধিতা করতে ঘাষফুল এনআরসি-কে হাতিয়ার করেছিল ৷ এবার তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সদ্য আইনে পরিণত হওয়া সিএএ ৷
এনআরসি নিয়ে মানুষের মন থেকে ভয় কাটাতে সিএএ নিয়ে প্রচার করে এই রাজ্যে বিজেপি তাদের জমি আরও শক্তপোক্ত করতে চাইছে ৷ অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোরের পাল্টা কৌশলে সেই পরিকল্পনা ‘ব্যুমেরাং’ হতে পারে ৷ কারণ প্রশান্ত কিশোরের টুইটার তেমনই বার্তা দিচ্ছে ৷ তিনি লিখেছিলেন,আমাদের বলা হচ্ছে, নাগরিক সংশোধনী বিলের মাধ্যমে নাকি শুধুমাত্র নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, কারও কাছ থেকে সেটা কেড়ে নেওয়া হবে না। কিন্তু প্রকৃত সত্যি হল, এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, সরকারের হাতে ভয়ঙ্কর জোড়া অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। যার মাধ্যমে বৈষম্য তো বটেই, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিচার করা যাবে।’’
অসমে এনআরসি প্রয়োগের কারণে গত কয়েক মাস ধরেই বার বার বিজেপিকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। গত এপ্রিল- মে মাসে লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি ভাল ফল করলেও সম্প্রতি বাংলার উপনির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী হতে দেখা গিয়েছে ৷ এবার উপনির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রেই তৃণমূল জয়ী হওয়ায় বিজেপির ঝুলিতে শূণ্য জুটেছে ৷ কয়েক মাসের ব্যবধানে বিজেপি ভরাডুবির জন্য বাংলার মানুষের এনআরসি আতঙ্কেই দায়ী করেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ৷
Be the first to comment