শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি গোডাউন থেকে ৪০০ কেজি প্লাস্টিক ব্যাগ বাজেয়াপ্ত হল। শিলিগুড়ি পৌরনিগমসহ মহকুমাজুড়ে প্লাস্টিকব্যাগ নিষিদ্ধ হয়েছে আগেই। কিন্তু তারপরও প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার দেখা গেছে। অভিযোগ, একদল অসাধু ব্যবসায়ী মুনাফা লাভের আশায় চোরাপথে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ কেনাবেচা করে। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে গতকাল ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই গোডাউনে হানা দেন পৌরনিগম আধিকারিকরা। বাজেয়াপ্ত করা হয় প্লাস্টিকের ব্যাগ।
প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নিষিদ্ধ ঘোষণার পর থেকে অভিযান শুরু করে শিলিগুড়ি পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ। সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতার হাতে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ নজরে এলেই জরিমানা করা হয়ে থাকে। নিষিদ্ধ করার পরও কোথা থেকে আসছে ক্যারিব্যাগ ? যে বা যারা প্লাস্টিক কেনাবেচা করছে তাদের ছেড়ে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতার উপর অত্যাচার কেন? এই প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। ফলে নড়েচড়ে বসে পৌরনিগম কর্তৃপক্ষ। শুরু হয় খোঁজ খবর। পৌরনিগমের তদন্তকারীরা গোপন সূত্রে খবর পান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই গোডাউনে মজুত রয়েছে ক্যারিব্যাগ। এরপর পরিবেশ বিভাগের স্যানিটরি বিভাগের ইন্সপেক্টর মৃগাঙ্ক দে’র নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয় ওই গোডাউনে। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশকেও। হাতে ধরা দেয় সাফল্য। বাজেয়াপ্ত করা হয় ৪০০ কেজি প্লাস্টিকের ব্যাগ।
ঘটনা প্রসঙ্গে মেয়র পারিষদ মুকুল সেনগুপ্ত বলেন, সঠিক কী হয়েছে জানা নেই। সেই সময় পৌরনিগমের মাসিক অধিবেশন চলছিল। তবে আমাদের বিভাগের তরফে এই অভিযান চালানো হয়। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর প্লাস্টিক। ওই গোডাউনের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে। প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার রুখতে আগামীদিনেও এই ধরনের অভিযান চলবে।
Be the first to comment