দীর্ঘদিন চুপ ছিলেন, অবশেষে ‘মন কি বাতে’ পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে মনের কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে দেশের গরিব-শ্রমিকদের উপর। তিনি বলেন, ‘গরিব মানুষদের এই অবস্থা দেখে কে ঠিক থাকতে পারে বলুন? তবে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। পূর্ব ভারতের উন্নতিতে সবচেয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ।’ এরপরই মুখ খোলেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘মানুষ বাঁচবে কী করে? আপনার পিএম কেয়ারস ফান্ড থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্যে কত টাকা দিলেন? মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ টাকা পেয়েছেন, বাকি ৯৭ শতাংশ কোনও টাকাই পাননি। আপনার জমানায় তাহলে শ্রমিক বাঁচবে কী করে?’
এদিন ‘মন কি বাত’-এ মোদী বলেন, ‘নিজের ও পরিবারের পেটে চালাতে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা যে কী কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, তা আমরা সকলেই দেখতে পারছি। গোটা দেশ তাঁদের কষ্ট অনুভব করতে পারছে। সরকারও তাঁদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে উদ্যোগী। তাঁরা যাতে নিজেদের জায়গাতেই থেকে কাজের সুযোগ পায়, সেই ব্যবস্থা করারও চেষ্টা করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, মোদী সরকারের দ্বিতীয় জমানার প্রথম বর্ষপূর্তিতে দেশবাসীকে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি দাবি করেন, গত এক বছরে কয়েকটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই চিঠিতেই তিনি লেখেন পরিযায়ীদের দুর্দশা নিয়েও।
পরিযায়ী শ্রমিকরা এই লকডাউনের সময়ে যে অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তা স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেও। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকরা, ছোট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এবং আরও অনেক সহ-নাগরিক দুঃসহ কষ্টের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। তবে এই কষ্ট যাতে বিপর্যয়ে পরিণত না হয়, তার জন্য সবরকম ভাবে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।’
যদিও বিরোধীদের দাবি, শুধু কথায় তো কাজ হবে না। পরিযায়ীদের জন্যে কী ব্যবস্থা নিলেন, কতটাকা বরাদ্দ করলেন তা নিয়ে সুস্পষ্ট কোনও দিশাই নেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বা চিঠিতে।
Be the first to comment