নিজস্ব প্রতিবেদনঃ নাচনেওয়ালী দিয়ে শুরু হয়েছিল, শেষ হল নাক কাটার হুমকি দিয়ে। পদ্মাবতী ছবি নিয়ে বিতর্ক তো চলছেই, এবার দীপিকা পাড়ুকোনের উপর বেজায চটেছে রাজপুত কারনি সেনা। কারন দীপিকা বলেছিলেন, একটা ছবি মুক্তি নিয়ে এত বিতর্ক কিসের, ছবি মুক্তির পর ছবিটা একবার দেখলেই সব বিতর্ক মিটে যাবে, সেই সঙ্গে জুড়েছিলেন, দেশ হযতো পিছিযে যাচ্ছে। তাতেই আগুনে ঘি পরেছে। রাজপুত সেনা প্রথমে হুমকি দিয়েছিল ছবির মুক্তি স্থগিত রাখতে হবে, সেই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনও করে তাঁরা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দেয়। তাতে দমে যাওযা দুর আরও আস্তিন গুটিযে আসরে নামে সেনা বাহিনী। অন্যদিকে সঞ্জয লীলা বনশালি একটি ভিডিও পোস্ট করেন এই জানিযে যে পদ্মাবতী ছবিতে আপত্তিকর কিছুই নেই, সবাইকে ঠান্ডা মাথায ছবি দেখার আবেদন জানান তিনি। ছবির আরেক অভিনেতা শাহিদ কাপুরও একই আবেদন করেন, তার প্রতিক্রযার রাজপুত সেনার তরফে জানানো হয, সঞ্জয লীলা বনশালির মা নিশ্চয়ই কোথাও নাচতেন, নয়তো তাঁর ছবিতে পদ্মাবতীকে নৃত্য করতে দেখা গেল কেন, বনশালি কি জানেন না গোটা রাজপুত সম্প্রদায় রানী পদ্মাবতীকে মাতৃরূপে আরাধনা করে। ছবির মুখ্য অভিনেত্রী দীপিকা এরপর মুখ খোলেন, কিন্তু একজন অভিনেত্রীর স্পষ্ট কথা হজম করতে বেশ অসুবিধা হয রাজপুত সেনাদের। তাঁদের এক বীর সেনা মন্তব্য করেছেন, দীপিকাকে রাস্তায দেখা গেলে ঠিক সেটাই করা হবে যেটা লক্ষন সুর্পনখার সঙ্গে করেছিলেন, অর্থাৎ নাক কাটা হবে, সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে, রাজপুত জাতি, মহিলাদের সম্মান সুনিশ্চিত করেতই এই কাজ করবে। এর আগে জয়পুরে ছবির শুটিং চলাকালীন পরিচালক সঞ্জয লীলা বনশালির উপর হামলা চালিয়েছিল একদল উগ্র রাজপুত সমর্থক. তারপরই জযপুরে শুটিং বন্ধ করে দেন বনশালি. ছবির বাকি অংশের শুটিং মুম্বাইয়ে সম্পন্ন করেন তিনি. কিন্তু তাতেও বিতর্ক যে পিছু ছাড়েনি তা বোঝা যাচ্ছে. এখন দেখার সব সামলে পদ্মাবতীর কবে মুক্তির আলো দেখে।
Be the first to comment