লালবাতি গাড়িতে পুলিশ সেজে মদ্যপান, গ্রেফতার ভুয়ো ডিএসপি

Spread the love

ফের পুলিশের জালে আরও এক ভুয়ো পুলিশ আধিকারিক। এবার লালবাতি লাগানো সাদা স্করপিও গাড়ির ভিতর থেকে পুলিশের পোশাকেই গ্রেফতার হল ভুয়ো ডিএসপি। ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরের রানিঘাট এলাকায়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী। চন্দননগরের বক্সি গলির বাসিন্দা সিদ্ধার্থ নিজেকে ডিএসপি পরিচয় দিয়ে ঘুরে বেড়াত। রানিঘাটের কাছে লালবাতি লাগানো একটি গাড়িতে পুলিশের পোশাকে বসে মদ্যপান করার সময়ই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই গাড়িতে সিদ্ধার্থর মদ্যপানের দুই সঙ্গী অমর পাল ও সুকমার চৌধুরিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ৩ জনকেই ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে চন্দনগর সিজেএম আদালত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ চন্দননগর থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রানিঘাটের কাছে লালবাতি লাগানো দুধসাদা গাড়ির মধ্যে পুলিশের পোশাক পড়ে বসে মদ্যপান করছিল সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী। তার সঙ্গে ছিল চন্দননগর এডিএম জেলা পরিষদের গাড়ির চালক অমর পাল ও সুকুমার চৌধুরি নামে এক প্রাইভেট ড্রাইভার। গাড়ির সব কাচ তুলে দিয়েই তারা মদ্যপান করছিল। সেই সময় চন্দননগর থানার পুলিশ টহল দিতে বেরোলে লালবাতি লাগানো গাড়িটিকে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। সন্দেহবশত পুলিশ গাড়িটির দরজা খোলালে প্রথমে বেরিয়ে আসে ওই ভুয়ো ডিএসপি। সে নিজেকে হাওড়া গ্রামীণের ডিএসপি বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু এভাবে গাড়ির মধ্যে ডিএসপিকে মদ্যপান করতে দেখে চন্দননগর থানার পুলিশকর্মীদের সন্দেহ হয়। তারপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চন্দননগর থানার আই সি।

তিনি ওই ভুয়ো ডিএসপিকে তাঁর পদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে আসে। ভুয়ো ডিএসপি পরিচয় দিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কথা স্বীকার করে নেয় সিদ্ধার্থ। এরপরই চন্দননগর পুলিশ সিদ্ধার্থ ও তার দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করেছে। গাড়িটি চন্দননগরের কোনও আধিকারিকের বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশি জেরায় সিদ্ধার্থ জানিয়েছে, সে আগে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিল। তারপর বিভিন্ন সরকারি অফিসারদের গাড়ি চালাত। সেই সূত্রেই বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকের গাড়ির চালকদের সঙ্গে তার পরিচয়। অফিসারদের অনুপস্থিতিতে তাঁদের চালকদের সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধার্থ ডিএসপি পরিচয় দিয়ে ঘুরে বেড়াত এবং ট্রাফিক গার্ডে গিয়ে হুমকিও দিত বলে অভিযোগ। যদিও এখনও পর্যন্ত আর্থিক প্রতারণার কোনও খবর মেলেনি।

তবে ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১২০ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃত ৩ জনকে চন্দননগরের CJM আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। সেই আবেদন মেনে বিচারক ৩ জনকেই ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*