অমৃতা ঘোষ:-
১৪ তারিখ রাতে আমরা লজ্জিত হয়েছিলাম শহরে যেভাবে ভাঙচুর হয়েছিল, আর আজকে দেখা গেলো গর্বের ছবি,হাতে হাত ধরে ইস্টবেঙ্গল – মোহনবাগান – মোহামেডান একসঙ্গে শ্লোগান দিচ্ছে ‘We Want Justice’
১৬৩ ধারা জারি করে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল যে কোনো রকম জমায়েত মিছিল মিটিং করা যাবে না। কিন্তু আজ দুই দলের ফুটবল সমর্থকরা একত্রিত হয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গলে যৌথ মিছিল করেন। সেখানেই ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের যৌথ মিছিলে লাঠি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বহু সমর্থককে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। কিন্তু প্রতিবাদীদের চাপের মুখে শেষমেশ তাঁদের ছাড়তে বাধ্য হল পুলিশ। প্রিজন ভ্যান থেকে বের করে দিতে হল সমর্থকদের।
এদিন দেখা যায়, প্রিজন ভ্যান ঘিরে ফেলেন তিন দলের সমর্থকেরা। তারপর পুলিশ চাপের মুখে আটক করা ১০-১২ জনকে প্রিজন ভ্যান থেকে ছেড়ে দেয়। এর পরে ফের শুরু হয় মিছিল। স্টেডিয়ামের দিকে এগোতে থাকে বিশাল ভিড়।
রীতিমতো রণক্ষেত্র পরিস্থিতি হয় যুবভারতী প্রাঙ্গণে। বহু সমর্থককে জোর করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। মিছিলকারীরা চিৎকার করে অভিযোগ করতে থাকেন, কোনও প্ররোচনা ছাড়া, কোনও অশান্তি ছাড় পুলিশ রীতিমতো আক্রমণ করেছে তাঁদের উপর। কোনও রাজনৈতিক স্লোগানও ওঠেনি বলে দাবি তাঁদের। তার পরেও তাঁদের লাঠি মেরে তাড়ানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।
বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা জানিয়েছেন, ম্যাচ বাতিলের পরে তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন। স্লোগান তুলেছিলেন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। জানা গেছে, এর পরে পুলিশ তাঁদের চলে যেতে বলে। সমর্থকরা জানান, তাঁরা কোনও অশান্তি করছেন না। রাস্তা ছাড়বেন না। এর পরেই ছত্রভঙ্গ করতে তাঁদের উপর লাঠি চালানো হয় বলে অভিযোগ। মারধরের মুখে আহত হন মহিলা সমর্থকরাও। প্রিজন ভ্যানে দুই দলের সমর্থকদেরই তোলা হয়।
Be the first to comment