তল্লাসি চালাতে এসে গণপিটুনির শিকার হয়ে গেলেন বিহারের কিষানগঞ্জ পুলিসের এক ইনস্পেক্টর। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে।
কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা। পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার গভীর রাতে কিষানগঞ্জ থানা থেকে সেখানকার এসএইচও-র একটি ফোন আসে উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়া আউট পোস্টে। অনুরোধ করা হয়, একটি তল্লাসি অভিযানের জন্য পুলিস দিতে হবে। কিন্তু পাঞ্জিপাড়া ফাঁড়ি থেকে বলা হয়, ভোটের জন্য পুলিস দেওয়া যাবে না। এর পরই বাংলার পুলিস ছাড়াই পাঞ্জিপাড়ায় তল্লাসি করতে আসেন তিনি।
এদিকে, ভোর তিনটে নাগাদ পাঞ্জিপাড়া ফাঁড়িতে ফোন করেন লাল মিয়া নামে এলাকার এক নেতা। ফোনে তিনি পাঞ্জিপাড়ার ওসিকে বলেন, চোর সন্দেহে ২ জনকে ধরা হয়েছে পান্তাপাড়া গ্রামে। ওই ফোনের কিছুক্ষণ পরই ভোর ৩টে ১৬ মিনিট নাগাদ ফের একটি ফোন আসে ওসির কাছে।
জাহাঙ্গির আলি নামে এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ওসিকে বলেন, এলাকায় ফিরোজ আলি নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে একজন পুলিসের ও অন্যজন সাধারণ পোশাক করে ঢুকে বাইক চুরি করার চেষ্টা করে। এরপরই ফিরোজ আলির পরিবার চিৎকার শুরু করে। গ্রামবাসীরা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে তাদের আটক করে। তাদের মারধর করে।
ওই ফোন পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পাঞ্জিপাড়া ফাঁড়ির এসআই পুন্যব্রত সাহা। পাশাপাশি সাহায্য চেয়ে কিষানগঞ্জের এসডিপিও-র ফোন আসে। ওই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান পাঞ্জিপাড়ার ওসি। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন পুলিসের পোশাক পরা এক ব্যক্তি ফিরোজ আলির বাড়ির উঠনে সংজ্ঞাহীন অবস্থা পড়ে রয়েছেন। অন্যজনকে আটকে রাখা হয়েছে।
দুজনকেই ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ইউনিফর্ম পরা ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত ওই পুলিস কর্মীর নাম অশ্বিনী কুমার। কিষানগঞ্জ থানায় আইসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
Be the first to comment