গত সোমবার বুলন্দশহরে গুলিতে খুন হয়েছিলেন পুলিশ ইনসপেক্টর সুবোধ কুমার সিং। অভিযোগ জিতেন্দ্র মালিক ওরফে জিতু ফৌজি নামে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের এক কর্মী গুলি করেছিলেন তাঁকে। বুলন্দশহরের কাছেই তাঁর বাড়ি। অশান্তির কিছুদিন আগে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন। পুলিশ ইনসপেক্টর খুনের দিন সন্ধ্যায় রওনা হয়ে যান কর্মস্থলের দিকে। তাঁর পোস্টিং ছিল জম্মুতে। শনিবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে তাঁকে তুলে দিয়েছে সেনাবাহিনী। তার মা রতন কাউর সব শুনে বলেছেন, যদি প্রমাণিত হয় আমার ছেলে পুলিশকে মেরেছে, আমি নিজে হাতে তাকে হত্যা করব।
৩ ডিসেম্বর বুলন্দশহরের কাছে মাহাউ গ্রামের রাস্তার ধারে বেশ কয়েকটি গরুর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাতে ক্ষেপে ওঠে স্থানীয় জনতা। প্রায় ৪০০ লোক রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বজরং দলের স্থানীয় কর্মীরা। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। জনতা তাদের তাড়া করে। পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। জনতার ছোঁড়া পাথরের ঘায়ে সুবোধ কুমার সিং গুরুতর আহত হন। সুবোধের ড্রাইভার তাঁকে গাড়িতে তুলে পালাতে চেষ্টা করে। কিন্তু জনতা তাড়া করে গাড়িটিকে এনে ফেলে মাঠের মাঝে। চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যান। আহত সুবোধকে গুলি করা হয়।
অশান্তির সময় মোবাইলে তোলা বেশ কয়েকটি ভিডিও চিত্রে জিতু ফৌজিকে দেখা যায়। সুবোধ খুন হওয়ার সময় তিনি যে কাছাকাছি ছিলেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয় পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে, তদন্তের স্বার্থে জিতেন্দ্রকে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। শুক্রবার সেনাবাহিনী থেকে জানানো হয়, উত্তরপ্রদেশের পুলিশ নর্দার্ন কম্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে সবরকম সহায়তা করছি।
জিতেন্দ্রর মা রতন কাউর এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বলেন, আমার বড় ছেলেও সেনাবাহিনীতে কাজ করে। সে এখন আছে পুনেতে। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের গ্রামের বাড়িতে হানা দিয়েছিল। জিতেন্দ্রর স্ত্রী প্রিয়াংকা ওরফে গুড়িয়াকে মারধর করেছে। বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে। পুলিশ যখন হানা দেয়, তখন বাড়িতে ছিলেন জিতেন্দ্রর বাবা রাজপাল সিং, গুড়িয়া ও তাঁর শিশু সন্তান। তিনি গিয়েছিলেন বড় ছেলের স্ত্রীর বাড়িতে।
রতন কাউরের কথায়, আমি হৃদয়হীন নই। পুলিশের মৃত্যুতে আমিও আঘাত পেয়েছি। স্থানীয় ছেলেদের প্রতিও আমার সহানুভূতি আছে।
Be the first to comment