চিরন্তন ব্যানার্জি:-
ফের যাদবপুরের প্রতিবাদীদের মঞ্চ থেকে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুললেন নির্যাতিতার দাদা থেকে পরিবারের সদস্যরা। বিচারের দাবিতে যাদবপুরে প্রতিবাদীদের মঞ্চ থেকে নির্যাতিতার দাদা বললেন, ‘বোনের দেহটা রেখে দিতে চেয়েছিলাম, পুলিশের তৎপরতায় পারিনি’।
এদিন ওই মঞ্চ থেকে নির্যাতিতা কাকীমা বলেন, “সেদিন ওর বাবা-মা পুলিশের হাতে পায়ে ধরেছে। কিন্তু মেয়ের দেহ দেখতে দেয়নি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখেছে। অথচ সেই সেমিনার হলে তখন প্রচুর মানুষ!”
প্রসঙ্গত, গত বুধবার আরজি করে প্রতিবাদীদের মঞ্চ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগও এনেছিলেন নির্যাতিতার বাবা। দেহ সৎকারে পুলিশি তৎপরতার প্রসঙ্গও টেনে এনেছিলেন। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরাও বারে বারে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সরব হয়েছেন।
রবিবার রাতে যাদবপুরের এইট বি-র প্রতিবাদি মঞ্চ থেকে নির্যাতিতার মা বলেন, “আমরা আর উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলব না। বিচার চাই নয়, বিচার করতে হবে এটাই আমাদের দাবি। তাই বলুন, উই ডিমান্ড জাস্টিস। যতদিন না আমার মেয়ে বিচার পাচ্ছে আপনারা রাস্তা ছাড়বেন না।” এদিন কথা বলতে নিজেদের গত এক মাসের যন্ত্রণার কথা বলতে গিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠেছেন আরজি করে ধর্ষণ-খুনের শিকার হওয়া ডাক্তারি ছাত্রীটির কাকিমা। কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেছেন, “মেয়েটা নেই,, এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। গত এক মাস আমাদের নাওয়া খাওয়া উঠে গেছে। এভাবে একটা মধ্যবিত্ত পরিবারকে যারা শেষ করে দিল, তাদেরও শেষ করার প্রতিজ্ঞা নিতে হবে।”
চোখের জল মুছে চোয়াল শক্ত করে হাতের মুঠো ধরে ভিড় থেকে আওয়াজ উঠেছে, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস আর নয়, এবার উই ডিমান্ড জাস্টিস’। ওই মঞ্চ থেকে একই দাবি জানান নির্যাতিতার দাদাও।
Be the first to comment