
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- বিরোধী দলনেতাকে আটকানোর পরের দিন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকেও হাওড়ার বেলগাছিয়ার ধস বিপর্যস্ত এলাকায় যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠলো পুলিশের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার, হাওড়ার বেলগাছিয়ার ধস বিপর্যস্ত এলাকায় স্থানীয় মানুষদের সাথে দেখা করার কথা ছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার সহ কংগ্রেস নেতৃত্বের। কিন্তু, কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল বেলগাছিয়ায় পৌঁছাতেই তাঁদের ব্যারিকেড করে আটকে দেয় হাওড়া পুলিশ। এরপরই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পরে কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি-সহ নেতৃত্বরা। পুলিশের তরফ থেকে তাঁদের বলা হয়, যেহেতু ধস বিপর্যস্ত এলাকায় অবস্থা অত্যন্ত বিপদজ্জনক, যখন তখন মাটি ধসে যাচ্ছে এমত অবস্থায় তাঁদের যেতে দেওয়া যাবে না।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার ‘রোজদিন’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘পুলিশ ভিতরে ঢুকতে দিতে চাইছে না কারণ, সরকারের গাফিলতির ফলে আসল ঘটনাটা যাতে সকলের সামনে চলে আসে সেই ভয়ে রাজ্যের বিরোধী দলগুলিকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সরকার চায়না সত্য সামনে আসুক।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যের প্রশাসনিক ভবনের ঠিল ছোঁড়া দূরত্বে এই ভাগাড়, এটা ভাবাই যায় না। নবান্নের উচ্চতা ভাগাড়ের উচ্চতা প্রায় সমান হয়ে গিয়েছে। অথচ সরকার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সরকার উদাসীন।’
এদিন শুভঙ্কর সরকার অভিযোগ করেন, ‘এখানে এরকম ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও ২০ হাজার টাকা সেলামি দিয়ে ঘর নিতে হচ্ছে। এরা সকলেই গরীব, কোথা থেকে পাবে টাকা? তাই এই অসাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই মানুষগুলোকে এখানেই থাকতে হচ্ছে।’ তিনি মনে করেন, অগণতান্ত্রিক উপায়ে একটা সরকার চলছে। পুরো প্রশাসন নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে, এই প্রশাসনের পক্ষে এই অব্যবস্থাকে সামলানোর কোন ক্ষমতাই নেই। প্রশাসন নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, সরকারের কাছে দাবি জানায়, অতি শীঘ্রই বেলগাছিয়ার বিপর্যস্ত মানুষদের পুনর্বাসন দিতে হবে এবং প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের চিকিৎসা করতে হবে।
পাশাপাশি শুভঙ্কর সরকার হাওড়া পুরসভা দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ায় তিনি বেলগাছিয়া থেকে দাঁড়িয়েই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি ‘রোজদিন’কে জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরেই হাওড়া এবং বালিতে পুরো ভোট হয়নি, এটা অগণতান্ত্রিক ব্যাপার। স্থানীয় স্তরে জনপ্রতিনিধি কেউ নেই। এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না’।
এদিন পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে কিছুটা ভিতরে গিয়ে স্থানীয় অসহায় মানুষগুলোর হাতে সামান্য জল, চিড়ে, কেক তুলে দেওয়া হয় প্রদেশ কংগ্রেসের তরফ থেকে।
Be the first to comment