রাজনৈতিক দলগুলিকে জমা দিতে হবে আর্থিক অনুদানের হিসেব। মঙ্গলবার সব দলকে এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে সেই হিসেব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসলে নির্বাচনী বন্ড বা ইলেকটোরাল বন্ড সংক্রান্ত মামলায় এই হিসেব দেওয়ার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কত অনুদান মিলেছে, সেই তথ্য বন্ধ খামে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।
২০১৯-এর এপ্রিলেও একই রকম নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই সময় দেখা যায়, শুধুমাত্র ২০১৯ -এর লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত হিসেব দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। তা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
গত ৩ নভেম্বর ইলেকটোরাল বন্ড সংক্রান্ত মামলায় ফের তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, ২ সপ্তাহের মধ্যে সব তথ্য দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তিন দিন শুনানির পর ওই মামলায় রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।
নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর। সিপিএম-এর তরফেও একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি হয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বিআই গাভাই, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে।
Be the first to comment