দেখতে দেখতে দূষণে দিল্লিকে ছাপিয়ে যাচ্ছে কলকাতা। আর সেই দূষণ মোকাবিলায় বুধবার জরুরি বৈঠক ডাকলেন পরিবেশমন্ত্রী। বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার নিরিখে কলকাতা এখন দিল্লিরও আগে। পরিবেশবিদরা বলছেন, এর প্রধান কারণ ডিজেল চালিত গাড়ির ধোঁয়া, কাঠ কয়লার ব্যবহার আর রাস্তার ধুলো। পরিবেশ দফতরের হিসেব বলছে, শহরের PM 10-এ ৩৭.৫% রাস্তার ধুলো। কয়লাজাত দ্রব্য বা জ্বালানি থেকে দূষণ ২৯.৮%, পাতা ও গাছের গুঁড়ি পোড়ানোয় দূষণের পরিমাণ ১১.৭% এবং অন্যান্য কারণে ২১%।
বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা ছোট পারটিকুলেট ম্যাটার্স বা PM 2.5।
পরিবেশ দফতরের হিসেব বলছে, শহরের PM 2.5-এ ৫.৭% রাস্তার ধুলো। কয়লাজাত দ্রব্য বা জ্বালানি থেকে দূষণ ৫৯.৩%, পাতা ও গাছের গুঁড়ি পোড়ানোয় দূষণের পরিমাণ ২.৩% এবং অন্যান্য কারণে ২২.৭%।
কলকাতার সবচেয়ে বেশি দূষণ কোথায়?
জানা যাচ্ছে, প্রত্যেকদিনের গড় হিসেবে শ্যামবাজারে ৬৩২.৫ মাইক্রোগ্রাম, বন্দর এলাকায় ৬০০ মাইক্রোগ্রাম, ডানলপে ৪৫৬ মাইক্রোগ্রাম, চেতলায় ৩৮৪ মাইক্রোগ্রাম, মৌলালিতে ৩৭৩ মাইক্রোগ্রাম, শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম, হাওড়া স্টেশন চত্বরে ৪৪০ মাইক্রোগ্রাম, ধর্মতলায় ৫৩০ মাইক্রোগ্রাম।
তবে পরিস্থিতি সামলাতে ১৫ বছরের পুরোন সব গাড়ির শহরে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ৯ জানুয়ারি বৈঠক ডেকেছেন পরিবেশ মন্ত্রী। যে বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয়েছে শহরের নির্মাণ সংস্থার প্রতিনিধিদের। থাকবেন RVNL, KMRCL সহ পরিবেশ দফতরের আধিকারিক, KMC, KMDA ও পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা। এই বৈঠকে দূষণ সামলাতে বেশ কিছু প্রস্তাব রাখা হতে পারে।
কীভাবে কমবে দূষণ?
যাঁরা ফুটপাথের দোকানে কয়লার উনুনে রান্না করেন, তাঁদের ইলেকট্রিক হিটার বা কুকার দেওয়া হবে।
পুরসভার তরফে রোজ রাস্তায় জল দেওয়া হবে ও গাছ পরিষ্কার করা হবে।
গাছের গুঁড়ি, পাতা, প্লাসটিক পোড়ালে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হবে।
হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও তুলে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা করা হবে।
-শহরের সব নির্মাণ কাজ ঢেকে করতে হবে।
জানা গিয়েছে, এই প্রস্তাবগুলো রাজ্য পরিবেশ দফতরের ডাকা ৯ জানুয়ারির বৈঠকে গৃহীত হতে পারে। তাতে হয়তো কিছুটা হলেও ঠেকানো যাবে দূষণ দানব।
Be the first to comment