অবশেষে আত্মসমর্পণ করলো পুলকার মালিক শামিম। বৃহস্পতিবার রাতে পোলবা থানায় এসে ধরা দেয় পুলকার মালিক ও চালক শামিম আখতার। সে হুগলির শেওড়াফুলির বাসিন্দা ৷ শামিমই কাউন্সিলর সন্তোষ সিংয়ের ছেলে ঋষভকে স্কুলে নিয়ে যেত।
১৪ ফ্রেব্রুরারি সকালে শমিম ঋষভকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। কিন্তু শেওড়াফুলির কাছে রাস্তায় পবিত্রর সঙ্গে ঋষভ ও অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীকে পাঠিয়ে দেয়। তারপর সাড়ে সাতটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ফরেনসিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, প্রায় ৯০ কিলোমিটার গতি ছিল পুলকারটির। গাড়ির নম্বর থেকে জানা গিয়েছে, গাড়িটি রোহিত কোলের। কিছুদিন আগে গাড়িটি কিনেছিল শামিম। দু’বছর আগেই পুলকারটি ফিটনেস পরীক্ষায় ফেল করে।
গাড়ির স্পিড গভর্নর কাটা ছিল। এর ফলে গাড়িটি অনেক বেশি গতিতে চালানো সম্ভব হয়। আর অত্যাধিক গতির ফলেই পোলবার দিল্লি রোডে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে পবিত্র প্রথমে রাস্তার ডিভাইডারে পরে পিলার ভেঙে নয়ানজুলিতে উল্টে পড়ে। সেখানেই স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে ঋষভ ও দেবাংশ সহ বেশ কয়েকজনকে চুঁচুড়া হাসপাতালে পাঠায়। দিব্যাংশের অবস্থা উন্নতি হলেও ঋষভ আশঙ্কাজনক অবস্থায় SSKM ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি।
দুর্ঘটনার পর থেকে শামিমকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পুলিশ তাঁর খোঁজে বাড়িতে এলেও পায়নি। মূল অভিযুক্ত পবিত্র দাস এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
Be the first to comment