জয় দিয়ে বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করল পর্তুগাল। এদিন ঘানাকে ৩-২ গোলে হরাল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দল। পর্তুগালের হয়ে গোলগুলি করেন রোনাল্ডো, ফেলিক্স এবং রাফায়েল। মুখে না বললেও কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে খেলছেন রোনাল্ডো। তাই এই বিশ্বকাপে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দিতে যে মরিয়া তিনি, তা প্রকাশ পেল তাঁর পারফরম্যান্সে।
ম্যাচে এদিন প্রথম থেকেই বলের দখল রাখে পর্তুগাল। প্রথম থেকেই একের পর এক আক্রমনে যায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, ফেলিক্সরা। দুই প্রান্ত ধরে আক্রমণ তুলে আনতে থাকে পর্তুগিজরা। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি রোনাল্ডোরা। ম্যাচের ১০ মিনিটের প্রথম সুযোগ পান পর্তুগিজ সুপারস্টার। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি সিআরসেভেন। ১২ মিনিটে আবার গোল করার সুযোগ পান রোনাল্ডো। এবার হেডে। কিন্তু ঠিক জায়গায় বল লাগাতে পারেননি তিনি। পোস্টের বাইরে দিয়ে বল বেরিয়ে যায়। এরপর ম্যাচে ফেরে ঘানা। আক্রমণে ঝাঁপায় তারা। পাল্টা আক্রমণ চালায় রোনাল্ডোর দল। ৩১ মিনিটে ঘানার গোলে বল জড়ান রোনাল্ডো। কিন্তু ফাউলের কারণে সেই গোল বাতিল করে দেন রেফারি। এরপর আক্রমণে গেলেও গোলের দরজা খুলতে ব্যর্থ হয় দু’দল। যার ফলে প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল থাকে গোলশূন্য।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় পর্তুগাল। একের পর এক আক্রমণ চালায় রোনাল্ডোরা। এরমধ্যেই পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। ম্যাচের ৬২ মিনিটে বক্সের মধ্যে রোনাল্ডোকে ফাউল করেন ঘানার সালিসু। পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে এতটুকু ব্যর্থ হননি সিআরসেভেন। ৬৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন রোনাল্ডো। তবে এই ব্যবধান বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি পর্তুগাল। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে সমতায় ফেরে ঘানা। বাঁ প্রান্ত ধরে বল নিয়ে এগিয়ে পর্তুগালের বক্সে ঢুকে পড়েন কুডুস। দলের স্ট্রাইকার আন্দ্রে আয়া উদ্দেশে বল বাড়ান তিনি। সেই বল ডান পায়ের টোকায় গোল করে যান আয়া।
এরপর পাল্টা আক্রমণ চালায় পর্তুগাল। যার ফলে ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় রোনাল্ডোর দল। পর্তুগালের হয়ে ২-১ করেন ফেলিক্স। এর দু’মিনিটের মাথায় ফের গোল করে পর্তুগাল। পর্তুগালের হয়ে ৩-১ করেন পরিবর্ত হিসাবে নামা রাফায়েল। এরপর রোনাল্ডোকে বসিয়ে দেন পর্তুগালের কোচ। এরপরই দ্বিতীয় গোল করে ঘানা। ঘানার হয়ে ৩-২ করেন বুকারী।
Be the first to comment