ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য। বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের রাজ্যে ‘হিংসা’ ছড়ানোর মামলার কয়েকটি ক্ষেত্রে (ধর্ষণ ও খুন) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
এমনিতে হাইকোর্টের রায়ের পরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট-পরবর্তী হিংসার তদন্তে গিয়েছে সিবিআই। নদিয়া, বীরভূম, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলায় গিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দায়ের হয়েছে একাধিক এফআইআর। এক বিজেপি কর্মী খুনে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
গত ২১ অগস্ট ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশ, হত্যা, ধর্ষণ এবং মহিলাদের উপর অপরাধের মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। এছাড়া বাকি অভিযোগের তদন্ত করবে সৌমেন মিত্র, সুমন বালা, রণবীর কুমারকে নিয়ে গঠিত তিনজনের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। সিটের তদন্ত আদালতের নজরদারিতে হবে। সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিয়োগ করা হয়েছে।
কতদিনের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে, তাও উল্লেখ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ছ’সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং সিটকে অন্তর্বর্তীকালীন তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তদন্ত প্রক্রিয়ায় রাজ্যকে পুরোপুরি সহযোগিতা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়েছে, নয়া ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হবে। যে মামলার শুনানি হবে আগামী ২৪ অক্টোবর। পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধে যে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিল রাজ্য সরকার, তার কোনও ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
Be the first to comment