রোজদিন ডেস্ক,কলকাতা :- পরিবারের অভিযোগ ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন প্রয়োগ ও চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, সেপটিক শক থেকে মাল্টিঅর্গান ফেলিওরের কারণে মৃত্যু হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রসূতি মামণি রুইদাসের। যদিও সেই রিপোর্ট হাতে পায়নি বলে জানিয়েছে মৃতার পরিবার। তাদের দাবি, প্রশাসনের তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। চিকিৎসায় জড়িত ডাক্তার ও বাকি কর্মীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একের পর এক ৫ প্রসূতির গুরুতর অসুস্থ ও তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই, গুরুতর অবস্থায় ৪ প্রসূতিকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই আবহে মৃত প্রসূতির ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রিপোর্টে উল্লিখিত মাল্টিঅর্গান ফেলিওর নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন, অস্ত্রোপচারে কীভাবে মাল্টিঅর্গান ফেলিওর হল? অস্ত্রোপচারে কী দেরি হয়েছিল? না-হলে সেপটিক শক হয় কীভাবে? যদিও এই রিপোর্ট নিয়ে এখনও অন্ধকারে মৃতার পরিবার।
পরিবারের অভিযোগ, “আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থানায় আনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, পুলিশ কর্তারা জানান সিআইডি তদন্ত শুরু হওয়ায় রিপোর্ট হাতে দেওয়া যাবে না।” সেই সঙ্গে তাদের অভিযোগ, মামণির মৃত্যুর পর তাঁর সদ্যজাতকে ছুটি দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। তাকে পুনরায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি তাদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের তরফে তারা কোনও সাহায্য পাননি। এই আবহে, দোষীদের কঠোর সাজার দাবি করছেন মৃতার পরিবার।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মাতৃমাতে পাঁচ প্রসূতির সন্তান প্রসব হয়। তারপরই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। অভিযোগ, তাঁদের প্রস্রাব নিঃসরণ হচ্ছিল না। সেই সঙ্গে, রক্ত বন্ধ করা যায়নি। এরপর তাঁদেরকে তড়িঘড়ি আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় চিকিৎসার গাফিলতি ও মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইনের অভিযোগ তোলে রোগীর পরিবার। ঘটনায় গত ১০ জানুয়ারি সকালে এক প্রসূতির মৃত্যু ঘটে। এরপরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তড়িঘড়ি ১৩ জনের একটি টিম পাঠানো হয় কারণ খতিয়ে দেখতে। ইতিমধ্যে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ সুপার জয়ন্ত কুমার রাউতকে জেরাও করেন তাঁরা।
Be the first to comment