পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে পঞ্জাব ছাড়া সব রাজ্যেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। বুথ ফেরৎ সমীক্ষায় গোয়ায় ত্রিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল। তবে ফল সামনে আসতে দেখা যাচ্ছে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। গোয়ায় যে সরকার গঠন করতে বদ্ধপরিকর পদ্ম শিবির, তা বুঝিয়ে দিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে আঞ্চলিক দল ‘মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি’ ও নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে নেবে বিজেপি। তৃণমূলের সঙ্গে নির্বাচন-পূর্ব জোটে রয়েছে ‘মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি’। তাই সেই দলকে জোটসঙ্গী করার যে বার্তা বিজেপি দিয়েছে, তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
১৮ টার বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ১০ টির বেশি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। কয়েকটি আসনে এগিয়ে রয়েছে মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি ও তৃণমূল কংগ্রেসের জোট। ওই জোট কিং মেকার হতে পারে বলে অনুমান করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেই জোট থেকেই ‘মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি’কে সঙ্গে নেওয়ার কথা বললেন প্রমোদ সাওয়ন্ত। ভালো ফলের কৃতিত্ব দলের কর্মীদেরই দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
একসময় বিজেপির সঙ্গী ছিলেন ‘মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি’। ২০১৯-এ গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙে ওই দলের। কিন্তু বুথ ফেরৎ সমীক্ষা সামনে আসার পর থেকেই নতুন করে জোটের ইঙ্গিত মিলেছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। ফল প্রকাশের আগেই গোয়া বিজেপির দায়িত্বে থাকা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দাবি করেন, বিজেপির স্বাভাবিক সঙ্গী এমজিপি। ২০১৭ তে বিজেপিকে গোয়ায় ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছিল এই দলই। কিন্তু মনোহর পারিকরের মৃত্যুর পরই বিজেপি হাত ছেড়ে দেয় তারা। দলের সুপ্রিমো সুধীন ধবলিকর জানিয়েছিলেন, আর কখনই তাঁরা বিজেপির সঙ্গে জোট গড়বেন না। তবে ফল প্রকাশের পর এমজিপি কী সিদ্ধান্ত নেয়, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment