চিকিৎসকদের দীর্ঘ লড়াই ব্যর্থ হলো ৷ প্রয়াত জাতীয় দল ও কলকাতার তিন প্রধানে খেলা গোলরক্ষক প্রশান্ত ডোরা ৷ দুরারোগ্য হেমোফাগোসিটিক লিম্ফোহিস্টিওসাইটোসিস বা এইচএলএইচে ভুগছিলেন তিনি ৷ ভর্তি ছিলেন রাজারহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। আজ সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৪২ বছরের প্রশান্ত ৷ তাঁর মৃত্যুতে ক্রীড়াজগতে শোকের ছায়া ৷
তিনমাস ধরে জ্বরে ভুগছিলেন কলকাতা ময়দানের এই পরিচিত গোলরক্ষক ৷ পরিস্থিতি জটিল হলে রাজারহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে ৷ প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি ৷ পরে দেখা যায় তিনি এইচএলএইচ রোগে আক্রান্ত ৷ প্রশান্তকে বাঁচানোর জন্য O+ রক্তের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল ৷ রক্তের ব্যবস্থা থেকে হাসপাতালে ভর্তিতে সাহায্য করেছিলেন প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র ৷ দাদা প্রশান্ত ডোরা এবং স্ত্রী সৌমি ডোরার সর্বোচ্চ চেষ্টা এবং অনুরাগীদের প্রার্থনাকে ব্যর্থ করে আজ দুপুর ১টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ মারা যান তিনি ৷ রেখে গেলেন স্ত্রী ও ১২ বছরের ছেলেকে ৷
দাদার অনুসারী হয়ে খেলার মাঠে গোলরক্ষকের ভূমিকায় নেমেছিলেন প্রশান্ত। খ্যাতনামা গোলরক্ষক হেমন্ত ডোরার ভাই প্রশান্ত ডোরা ছিলেন ম্যাচের অন্যতম বিশ্বাসের জায়গা। বাংলার সন্তোষ ট্রফি ছাড়া মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডানে খেলেছেন সুনামের সঙ্গে। ১৯৯ সালে প্রথম ভারতীয় দলে সুযোগ পান প্রশান্ত।
পরবর্তীকালে সাফ কাপ, সাফ গেমসেও দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। খেলার সূত্রেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কে চাকরি পেয়েছিলেন। প্রশান্তের প্রয়াণে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে শোকবার্তা দেওয়া হয়েছে ৷
Be the first to comment