প্রশান্ত কিশোরকে দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি নিজেই সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। সরকারিভাবে জানিয়ে দিল কংগ্রেস অর্থাৎ প্রশান্তের কংগ্রেসে যোগদানের জল্পনায় আপাতত ইতি পড়ে গেল। গত কয়েকদিন ধরেই প্রশান্তের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে রাজধানীর অলিন্দে জোর জল্পনা চলছিল। দফায় দফায় কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন ভোটকুশলী। একটা সময় মনে করা হচ্ছিল তাঁর কংগ্রেসে যোগদান সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু মঙ্গলবার কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা টুইট করে জানিয়ে দিলেন, প্রশান্ত কিশোরকে দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
টুইটে সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন,”প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে আলোচনা এবং তাঁর প্রেজেন্টেশনের পর কংগ্রেস সভানেত্রী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি বিশেষ দল গঠন করেছেন। কংগ্রেস সভানেত্রী প্রশান্ত কিশোরকেও দলে যোগ দিয়ে এই গ্রুপের অংশ হিসাবে বিশেষ দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যখ্যান করেছেন। তবে তিনি দলের জন্য যে পরামর্শগুলি দিয়েছেন এবং পরিশ্রম করেছেন, আমরা সেটাকে সম্মান করি।” রণদীপের টুইটের অর্থ, আপাতত প্রশান্ত কিশোরের সরাসরি কংগ্রেসে যোগদানের আর কোনও সম্ভাবনা নেই।
কিন্তু সরাসরি দলে যোগ না দিয়ে কি পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করবেন পিকে? নাকি পুরোপুরিই কংগ্রেসের থেকে দূরত্ব তৈরি হয়ে গেল তাঁর? সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রশ্ন উঠছে, প্রশান্ত যদি কংগ্রেসে যোগ দিতে আগ্রহী না-ই হবেন তাহলে কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে নিজের এতটা মূল্যবান সময় ব্যয় করলেন কেন? কারও কারও ধারণা, হয়তো কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য যে শর্ত তিনি দিয়েছিলেন, সেটা সোনিয়া গান্ধী মানতে রাজি হননি। সেকারণেই শেষমুহূর্তে পিছিয়ে এসেছেন পিকে।
উল্লেখ্য, দলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রশান্তকে অন্য সমস্ত দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তাব দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু তারপরেও তিনি টিআরএস সুপ্রিমো কেসিআরের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। তাঁর প্রাক্তন সংস্থা আই-প্যাক টিআরএসের সঙ্গে চুক্তিও করেছে। তাহলে কি অন্য দলের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করতে চান না বলেই কংগ্রেসে যোগের ব্যাপারে পিছিয়ে এলেন পিকে? উঠছে সে প্রশ্নও। কেউ কেউ আবার মনে করছে, কংগ্রেসে সরাসরি যোগ না দিয়ে পরামর্শদাতা হিসাবেই কাজ করতে চাইছেন তিনি? প্রশান্ত এবং কংগ্রেসের সম্পর্ক আগামী দিনে কোনদিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।
Be the first to comment