তাঁর কৌশলে এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে বাংলার তৃণমূল সরকার। গত ২ মে ফল ঘোষণার পর তিনি নিজে মুখেই বলেছিলেন, তিনি আর এই পেশায় থাকতে চান না। তাহলে আগামী দিনে কোন ভূমিকায় দেখা যাবে প্রশান্ত কিশোরকে? এ নিয়ে জল্পনার আবহেই এবার পঞ্জাবে পিকের’র কেরিয়ার নিয়ে সংশয় দেখা গেল। পঞ্জাবে প্রশান্ত কিশোরকে প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইসর হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, এই দায়িত্ব থেকে হয়তো অব্যাহতি নিতে পারেন পিকে।
পঞ্জাব সরকার সূত্রে খবর, প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইসরি হিসেবে হয়তো কাজ চালিয়ে নাও যেতে পারেন প্রশান্ত কিশোর। এদিকে, প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইসর হিসেবে প্রশান্তের নিয়োগকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই পঞ্জাব সরকারকে নোটিশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যাচ্ছে, দলের অনেক নেতাদের পিকে বলেছেন যে, তিনি এই দায়িত্বভার নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক নন। যদিও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত করে কিছু জানানি। এ নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই প্রসঙ্গে এক নেতা বলেছেন, ‘নিজেদের বিধায়কদের নিয়েই সমস্যার মুখে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি ভালো নয়। মনে হচ্ছে, এই সরকারের অংশ হতে চাইবেন না প্রশান্ত।’ যদি শেষ পর্যন্ত পিকে সরে আসেন, তাহলে তার প্রভাব পড়বে পঞ্জাব সরকারে।
২ তারিখ ফল ঘোষণার পর এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে পিকে বলেছিলেন, ‘আমি যা করেছি যথেষ্ট। আর করতে চাই না। আমি যে পেশায় আছি আর সেটা টেনে নিয়ে যেতে চাই না। এবার সময় বিরতির। নিজের জন্য অন্যকিছু করতে চাই। এই জায়গাটা আমি ছাড়ছি।’ কেন আচমকা এমন সিদ্ধান্ত! তাহলে কি রাজনীতিতে ফিরছেন প্রশান্ত কিশোর? জবাবে পিকে জানান, ‘আমি ব্যর্থ রাজনীতিবিদ। আমি ফিরে গিয়ে দেখি কী করতে পারি।’
অন্যদিকে, প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্যসভার টিকিট দিতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস, এমন জল্পনাও ছড়ায় বঙ্গ রাজনীতিতে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই দাবি নস্যাৎ করে দেওয়া হয়। আগামী দিনে কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
Be the first to comment