ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেসকে চাঙ্গা করতে নতুন ছক কষেছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ৷ আর সেই পরিকল্পনা খতিয়ে দেখতে একটি প্যানেল গঠন করেছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ৷ শুক্রবার পিকে-র প্রেজেন্টেশন নিয়ে রিপোর্ট পেশ করলেন সেই প্যানেলের অন্যতম দুই সদস্য প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল এবং নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা ৷ এদিন সোনিয়া গান্ধির বাড়িতে গিয়ে রিপোর্ট জমা দেন তাঁরা ৷
এক কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, প্রশান্ত কিশোরের প্রস্তাব আগাগোড়া পর্যালোচনা করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে ৷ কংগ্রেসে পিকে-র কী পদ হবে, এবার তা ঠিক করবেন সভানেত্রী সোনিয়া ৷ বেনুগোপাল ও প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও প্যানেলের অন্য সদস্যরা রণদীপ সুরজেওয়ালা, পি চিদম্বরম, অম্বিকা সোনি, জয়রাম রমেশ এবং মুকুল ওয়াজনিক ৷ এঁরা সকলেই তাঁদের মতামত জানিয়েছেন ৷
সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট-কুশলীর পরামর্শগুলি বাস্তবসম্মত এবং কার্যকরী বলে মনে হয়েছে প্যানেলের অনেক সদস্যের ৷ তবে দলে মমতার ভোট-কুশলীর স্থান কী হবে, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সোনিয়া গান্ধী ৷ তবে দলের প্রবীণ নেতারা কিশোরের উপদেশ এবং তাঁর পদ নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন ৷ এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বললেন, “কেমন যেন একটা অদ্ভুত সমীকরণের মতো লাগছে ৷ তিনি আই-প্যাকের অংশ নন, আর না তো তিনি এই সংস্থায় কোনও পদে রয়েছেন ৷ অথচ, সংস্থার কর্মীরা তাঁকে ছাড়া কোনও কাজ করেন না ৷”
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট অবশ্য প্রশান্ত কিশোরের প্রশংসা করেছেন ৷ তিনি পিকে-কে একটি ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ৷ বীরাপ্পা মউলি আবার কংগ্রেসে প্রশান্ত কিশোরকে নেওয়ার বিরুদ্ধে যাঁরা, তাঁদের ‘সংস্কার-বিরোধী’ বলেছেন ৷ কয়েকজন নেতা এই মতও দিয়েছেন যে, কিশোরের সঙ্গে কয়েকটি আঞ্চলিক দলগুলির সম্পর্কের ফলে আখেরে কংগ্রেসেরই লাভ হবে ৷ তাই তিনি কংগ্রেসে যোগ দিলে ভাল হবে ৷
পিকে কংগ্রেসে যোগদান করলে দেশের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী দলটির কাছে তা এক অভিনব ঘটনা হবে ৷ কারণ কংগ্রেসে অন্য দল থেকে নেতারা এলেও কোনও ভোট কুশলী আগে দলে যোগদান আগে হয়নি ৷ তবে দলে এলে তিনি যে ক্ষমতা পেতে পারেন, তা অনেক নেতার কাছেই অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে ৷
Be the first to comment